শালকুমারহাট: রাজ্য সেচ দপ্তরের এক কোটি ৯ লক্ষ টাকায় আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) ১-এর শালকুমারহাটের (Salkumarhat) শিসামারা নদীতে বোল্ডার বাঁধের কাজ চলছে। গত ১২ এপ্রিল বাঁধের কাজ শুরু হয়। ৩৪০ মিটার বাঁধের কাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু বিস্তীর্ণ জনপদকে নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা করার জন্য এই নদীতে আরও ৬৫০ মিটার বাঁধের প্রয়োজন। বৃহস্পতিবার শিসামারা পরিদর্শনে আসেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস ভূঁইয়া (Manas Bhunia)। তাঁকে সেই দাবির কথাই জানান স্থানীয়রা। মন্ত্রী অবশ্য নদীর পরিস্থিতি দেখে দ্রুত পদক্ষেপের আশ্বাস দেন৷ মন্ত্রী জানান, স্থানীয় বাসিন্দারা নদীর পরিস্থিতির ছবি তুলে একটি লিখিত যেন দ্রুত তাঁর কাছে পাঠান।
এদিন মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন সেচ দপ্তরের উত্তর-পূর্ব বিভাগের চিফ ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু ভৌমিক, আলিপুরদুয়ারের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার কেশবরঞ্জন রায়। দুই ইঞ্জিনিয়ারকেই আগামী সাত থেকে দশদিনের মধ্যে শিসামারা নদীর গোটা পরিস্থিতি নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সেচমন্ত্রী। ভুটান পাহাড় থেকে নেমে আসা তোর্ষার সঙ্গে সংযোগ থাকায় শিসামারা নদীর ভয়াবহ ভাঙন। এখানে অনেক আগে তৈরি করা জিও সিন্থেটিক বাঁধ ভেঙে যায় গত বর্ষায়। অনেকের চাষের জমি, সুপারি বাগান নদীগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে। একটি পরিবার তো ভিটেমাটি উচ্ছ্বেদ হয়ে শিলিগুড়ি চলে গিয়েছে। তাই বর্ষায় ফের নদীর ভাঙন শুরু হলে শালকুমার ১, শালকুমার ২ ও পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এদিন মন্ত্রীর সামনে তুলে ধরেন শালকুমার ১ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান শ্রীবাস রায়। তবে এক্ষেত্রেও মন্ত্রী জানান, রাজ্য সরকার বারবার কেন্দ্রকে চিঠি দিয়েছে। কিন্তু কেন্দ্র এখনও ভারত-ভুটান যৌথ নদী কমিশন গঠনের ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেয়নি।
এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে মানস ভূঁইয়া জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই শিসামারায় এসেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী এই এলাকার মানুষের পাশে আছেন। আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল, প্রাক্তন বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব, সহকারি সভাধিপতি মনোরঞ্জন দে সহ অনেকেই মন্ত্রীর সঙ্গে এদিন বাঁধ পরিদর্শনে আসেন।