ফালাকাটা: ফালাকাটা শহরের রাস্তায় দোকানের এঁটোকাঁটা ফেলতে গিয়ে পুলিশের বকুনি খেলেন দোকানটির কর্মচারী। সিপিএম পার্টি অফিসের পাশে থাকে একটি ফাস্ট ফুডের দোকান থেকে বস্তায় ভরে ওই এঁটোকাঁটা, জঞ্জাল শহরের ট্রাফিক মোড়ের রাস্তার ডিভাইডারে ফেলছিলেন এক তরুণ। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি নজরে আসে ফালাকাটা থানার এএসআই দিলীপ সরকারের। পরে তিনি ওই তরুণকে বকা দেন। এমনকি ওই জঞ্জাল ফের বস্তায় ভরিয়ে তঁাকে সতর্ক করে পাঠান। মঙ্গলবার রাতের এমন ঘটনা সমাজমাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল হয়ে পড়ে। পুলিশের এমন কাজে খুশি পুরসভা এবং জেলা প্রশাসন। বুধবার ওই পুলিশকর্মীকে বাহবা দিয়ে সার্টিফিকেট তুলে দেন জেলা শাসক।
ফালাকাটা থানার এএসআই দিলীপ সরকারের কথায়, ‘নাইট ডিউটি করছিলাম। ট্রাফিক মোড় এলাকায় দেখি এক তরুণ আবর্জনা নিয়ে ডিভাইডারে ফেলছে। গিয়ে দেখি দোকানের যাবতীয় নোংরা একেবারে রাস্তার ডিভাইডারে রাখছে। সঙ্গে সঙ্গে আমি বারণ করি। আবর্জনা বস্তায় ভরে নিয়ে যেতে বলি।’
ফালাকাটা পুরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিজিৎ রায় বলেন, ‘কিছু অসাধু ব্যবসায়ী এভাবে শহরে আবর্জনা ছড়াচ্ছে। পুলিশ ভালো কাজ করেছে। এভাবেই শহর পরিষ্কার রাখতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
মঙ্গলবার রাতে ফালাকাটা সিপিএম পার্টি অফিসের পাশে থাকা একটি রেস্তোরঁা থেকে দোকানের কর্মচারী প্লাস্টিক ভর্তি করে এঁটোকাঁটা, নোংরা নিয়ে আসেন। দোকানের উলটো দিকে থাকা রাস্তার ডিভাইডারে সেগুলি ঢেলে দেন। তখন নাইট ডিউটিতে ছিলেন ফালাকাটা থানার এএসআই দিলীপ সরকার। বিষয়টি তঁার নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি গিয়ে ওই তরুণকে বকাঝকা করেন। ফেলে দেওয়া আবর্জনা তঁাকে দিয়েই তোলান।
শহরের বাসিন্দা সঞ্জয় দাসের কথায়, ‘পুলিশ খুব ভালো কাজ করেছে। বেশিরভাগ ফাস্ট ফুডের দোকানই এমন কাজ করে শহর নোংরা করছে। তবে পুরসভারও উচিত নজরদারি করা।’
পুলিশের এমন কাজের ভিডিওটি নজরে আসে আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক আর বিমলার। বুধবার তিনি ফালাকাটা থানায় এসে ওই পুলিশকর্মীর প্রশংসা করেন। এমনকি তঁার হাতে ভালো কাজের জন্য শংসাপত্রও তুলে দেন। ফালাকাটা থানার এএসআই দিলীপ সরকার বলেন, ‘জেলা শাসকের শংসাপত্র আমার কাজের প্রতি দায়িত্ব আরও বাড়িয়ে দিল।’