আলিপুরদুয়ার: শহরের মিলন সংঘ হোক বা স্বামী বিবেকানন্দ ক্লাব, বাজেট বেড়েছে সবারই। কারও বেড়েছে ১০ লক্ষ টাকা, কারও ২০ লক্ষ টাকা। কিন্তু সবাইকে টেক্কা দিয়েছে জংশনের যুব সংঘ কালীবাড়ি। এমনিতে বিগ বাজেটের পুজোর কথা বলতে গেলে যুব সংঘের নাম আসবেই। গতবারের তুলনায় এবার তাদের বাজেট বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ। গতবার ছিল ২০ থেকে ২৫ লক্ষ টাকা। এবার সেটা ৪০ লক্ষ পার হয়ে গিয়েছে।
এত টাকা খরচ বাড়াতে হল কেন? এমনিতে জাঁকজমক আর বাজেট বাড়ায় পুজোর জৌলুসও বাড়বে। সেইসঙ্গে পুজো উদ্যোক্তারা জানাচ্ছেন, বাঁশ, কাঠ, শ্রমিকের হাজিরা, কাপড়ের দাম সহ মণ্ডপ তৈরির জিনিসপত্রের দামও বেড়েছে। খরচ বাড়বে তাতেও। আর পুজোর আলোকসজ্জা, ভোগ বিতরণ, বিসর্জনে মহারাষ্ট্রের পুনের বিখ্যাত ঢোল-তাসা ব্যান্ডও থাকবে। সেই সবেরও একটা খরচ রয়েছে। পাশাপাশি মণ্ডপের আয়তন গতবারের থেকে বেড়েছে। সেইসঙ্গে দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে বেশকিছু চমকও নাকি থাকছে। শহরের বিগ বাজেটের পুজোগুলির একেবারে শীর্ষে যুব সংঘ থাকে বরাবরই। আর্থিক ভরসা বলতে স্পনসরশিপ, পাড়ার বাসিন্দাদের চাঁদা, ক্লাবের সদস্যদের চাঁদা ইত্যাদি।
৭৭তম বর্ষে পড়েছে এবারে যুব সংঘ কালীবাড়ির পুজো। এবারের থিম নিয়ে খুবই উৎসাহিত ওই ক্লাবের সভাপতি দিলীপকুমার রায়। তিনি জানালেন, গুজরাটের গোন্ডালের স্বামী নারায়ণ মন্দিরের আদলে মণ্ডপ হচ্ছে। এবারে মণ্ডপের উচ্চতা ১০০ ফুটেরও বেশি। কাপড়, ফোম, ফাইবার, বাঁশ সহ নানান উপকরণ দিয়ে মণ্ডপের বাইরের অংশ তৈরি হচ্ছে। ভেতরে শঙ্খ, ঝিনুক ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হবে। প্রায় ৩ মাস ধরে মণ্ডপের কাজ চলছে। সেইসঙ্গে বাইরে ২টি হাতির মূর্তি তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছেন মণ্ডপশিল্পীরা। মনিব মাইতি, শ্যামল মান্না, হিমাংশু প্রধানরা প্রতিদিন ১৩ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজ করছেন। বাঁশ দিয়ে কাঠামো তৈরির কাজ হয়ে গিয়েছে। এখন কাঠের কাজ চলছে।
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর দিনহাটার কুমোরটুলি থেকে ১৪-১৫ ফুট উঁচু সাবেকি ধাঁচের প্রতিমা আসবে। সপ্তমী থেকে নবমী প্রতিদিনই ভোগ বিতরণ করা হবে। যুব সংঘ কালীবাড়ির সদস্য সুব্রত অধিকারী, সুজিত দাসেরা তাঁদের আয়োজন নিয়ে খুবই উৎসাহিত। জানালেন, পুজোর দিনগুলো ক্লাবেই কেটে যায় তাঁদের। আর ক্লাবের মহিলা সদস্য ময়না প্রসাদ, গৌরী দাসরাই পুজোর আচার-আয়োজন সহ সবকিছুর ব্যবস্থাপনায় থাকেন। এখন সকলেই ক্যালেন্ডারের দিকে তাকিয়ে দিন গুনছেন