Alipurduar | এঁচোড়-তরমুজে লক্ষ্মীলাভ, গাছপাঁঠাতেই মুখে হাসি ব্যবসায়ীদের 

Alipurduar | এঁচোড়-তরমুজে লক্ষ্মীলাভ, গাছপাঁঠাতেই মুখে হাসি ব্যবসায়ীদের 

ভিডিও/VIDEO
Spread the love


রাজু সাহা, শামুকতলা: বাঙালির মতে, খাবারের পাতে পাঁঠা যদি না থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে গাছপাঁঠা চলতেই পারে। বছরের নির্দিষ্ট সময়েই শুধু সেই স্বাদ পাওয়া যায় বলে প্রতিটি বাড়িতে গাছপাঁঠা তথা এঁচোড়ের কদর খুব বেশি। চলতি বছরে গরমের মরশুম পড়তেই এঁচোড়ের চাহিদা তুঙ্গে। আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার শামুকতলা, মহাকালগুড়ি, কুমারগ্রাম ও পারোকাটা সহ বিভিন্ন গ্রামের এঁচোড় স্থানীয় বাজার ছাড়িয়ে ভিনরাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে। প্রতি বছরই ওই এলাকাগুলি থেকে বিভিন্ন ধরনের সবজির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে এঁচোড়ও রপ্তানি হয়। এবার গ্রামগুলি থেকে ট্রাকে করে হাজার হাজার কুইন্টাল এঁচোড় উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, গাজিপুর সহ বিভিন্ন রাজ্যে রপ্তানি করা হচ্ছে। ফলে আলিপুরদুয়ার-২ ও কুমারগ্রাম ব্লকের চাষিদের গোঁফে তেল থাকুক বা না থাকুক বাড়িতে কাঁঠাল গাছ থাকলেই লক্ষ্মীলাভ হচ্ছে। চাষিদের মতে, কাঁঠাল বিক্রি করতে গেলে বাজারে ঠিকমতো দাম পাওয়া যায় না। তবে এঁচোড়ের ক্ষেত্রে সে আশঙ্কা নেই। মহাকালগুড়ির এক চাষি সুকুমার দেবনাথ বলেন, ‘আমার বাড়িতে চারটি কাঁঠাল গাছ রয়েছে। সেগুলিতে প্রচুর ফলন হয়। এঁচোড় বিক্রি করে প্রতিবছরই বেশ ভালো আয় হয়। অন্য ফসল চাষ করতেও ওই টাকা তখন কাজে লাগে।’

বর্তমানে এঁচোড় প্রায় ১৮ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে চাষিরা জানাচ্ছেন। ভিনরাজ্যে রপ্তানি করা ছাড়াও অনেক মানুষ গ্রামগুলি থেকে এঁচোড় কিনে নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন আড়তদারদের কাছে বিক্রি করেন। তেমনই একজন শামুকতলার বিনয় দেবনাথ। তিনি বলেন, ‘আমি এই সময় এঁচোড়ের ব্যবসা করে কিছুটা আয়ের মুখ দেখতে পাই। এমনি সময় দিনমজুরির কাজে ৩০০ টাকা করে পাওয়া যায়। তবে, এই সময় গ্রামে গ্রামে ঘুরে এঁচোড় কিনে সেগুলি আড়তদারের কাছে বিক্রি করলে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত আয় হয়।’ তাঁর মতো আরও অনেকেই এখন এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, বর্তমানে এঁচোড়ের জনপ্রিয়তা দেশ ছাড়িয়ে, বিদেশের মাটিতেও পৌঁছেছে। বিয়ে বা যে কোনও অনুষ্ঠানে সমস্ত জায়গাতেই এখন এঁচোড়ের বিভিন্ন রকমের পদ রান্না করা হয়। সেই কারণে বিভিন্ন এলাকায় দিনের পর দিন এঁচোড়ের চাহিদাও বাড়ছে।

চাহিদা বাড়লেও সব জায়গায় এঁচোড় পাওয়া যায় না। সেই কারণেই বাংলার বিভিন্ন জেলায় উৎপন্ন হওয়া এঁচোড় প্রচুর পরিমাণে রাজ্য তথা দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করা হয়। আলিপুরদুয়ারের দুই ব্লক থেকে প্রতিদিন একাধিক ট্রাকভর্তি করে প্রচুর পরিমাণে এঁচোড় উত্তরপ্রদেশ সহ বিভিন্ন রাজ্যে যায়। বিভিন্ন রাজ্যে এঁচোড় রপ্তানি করা কামাখ্যাগুড়ির এক ব্যবসায়ী নান্টু সাহার কথায়, ‘সবজি হিসেবে এঁচোড়ের চাহিদা উত্তর ভারতে খুব বেশি। তাই প্রতিদিনই প্রচুর পরিমাণে এঁচোড় রপ্তানি হয়।’ সবজি হিসেবে খাদ্যতালিকায় যুক্ত হওয়া ছাড়াও এঁচোড় দিয়ে অনেকেই সুস্বাদু আচার তৈরি করেন। আবার মাংসের পরিবর্তে একটি সুস্বাদু পদ হিসাবে এঁচোড়ের চাহিদাও ভারতবর্ষে বহুলপ্রচলিত। ফলে সাধারণ সবজি ও ফসল ছাড়াও বিভিন্ন গ্রামগুলিতে বিকল্প এই ব্যবসার ফলে লাভের মুখ দেখছেন কিছু মানুষ। গ্রামের চাষিরাও তাঁদের বাড়ির গাছ থেকে এঁচোড় বিক্রি করে দু’পয়সা অতিরিক্ত রোজগার করে খুশি।

The submit Alipurduar | এঁচোড়-তরমুজে লক্ষ্মীলাভ, গাছপাঁঠাতেই মুখে হাসি ব্যবসায়ীদের  appeared first on Uttarbanga Sambad.



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *