AIFF | ফেডারেশন-এফএসডিএল আটকে থাকা চুক্তির জের, দল নামাতে নারাজ একাধিক ক্লাব!

AIFF | ফেডারেশন-এফএসডিএল আটকে থাকা চুক্তির জের, দল নামাতে নারাজ একাধিক ক্লাব!

ব্লগ/BLOG
Spread the love


সুস্মিতা গঙ্গোপাধ্যায়, কলকাতা: ভারতীয় ফুটবলের আকাশে কি দূর্যোগের আরও কালো মেঘ ঘনিয়ে আসতে চলেছে?পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে হয়তো সবথেকে খারাপ সময় দেখতে পারেন এদেশের ফুটবল সমর্থকরা। শুধু জাতীয় দলের বিশ্রি হারের পালাই নয়, এবার ক্লাব ফুটবল নিয়েও আশঙ্কার দোলাচল শুরু হতে চলেছে।  ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের সঙ্গে চুক্তি শেষ হয়ে যাবে এফএসডিএলের। আর এই এফএসডিএলই এদেশের সর্বোচ্চ লিগ, ইন্ডিয়ান সুপার লিগের আয়োজক। আশা করা হয়েছিল, আগেই চুক্তিবৃদ্ধির বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছে যাবে দুই পক্ষ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দুইবার আলোচনায় বসলেও চুক্তিবৃদ্ধির বিষয়টি একেবারেই এগোয়নি। এআইএফএফ টাস্ক ফোর্স তৈরি করলেও শেষপর্যন্ত কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনই অবস্থা, ইতিমধ্যে ফেডারেশনকে টাকা দেওয়াও বন্ধ করেছে রিলায়েন্স। এরকম পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে আসন্ন ইন্ডিয়ান সুপার লিগও প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড়িয়ে। কারণ ক্লাবগুলিকে সেন্ট্রাল পুলের টাকা এবং সম্প্রচার নিয়ে কোনও কথাই দিতে পারছেন না এফএসডিএল কর্তৃপক্ষ। যা খবর তাতে এমনকি ডুরান্ড কাপ থেকেও যদি আইএসএলের একাধিক ক্লাব নাম তুলে নেয়, তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে।

ইতিমধ্যেই এফএসডিএলের এক কর্তার সঙ্গে বেশ কিছু ক্লাবের সিইও আলোচনায় বসেছেন বলে খবর। সেখানে তাঁদের জানানো হয়েছে, ফেডারেশনের সংবিধান কীভাবে তৈরি হচ্ছে তা না বুঝে নতুন করে চুক্তির বিষয়ে আর কথা এগোবে না এফএসডিএল। সেক্ষেত্রে এবার নমো নমো করে হতে পারে আইএসএল। যদি একাধিক ক্লাব খেলতে না চায় তাহলেও আপত্তি করবে না ফেডারেশনের বিপণন স্বত্বাধিকারী সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে বেশ কয়েকটি ক্লাব বা বলা ভালো, সরাসরি রিলায়েন্সের বাণিজ্যিক সহযোগীদের ক্লাবগুলি কাজ বন্ধ করে দেওয়ার কথা জানিয়েছে। এদের মধ্যে আছে চেন্নাইয়ান এফসি, এফসি গোয়া, নর্থইস্ট ইউনাইটেড এফসি, মুম্বই সিটি এফসি। এছাড়া কেরালা ব্লাস্টার্সের দাবি, যেহেতু সবথেকে বেশি প্রচার এবং টিকিট বিক্রি তাদের ফ্র্যাঞ্চাইজি করে থাকে, তাই লভ্যাংশের টাকা তাদের বেশি দিতে হবে। হায়দরাবাদ এফসি-তে যদিও এখন নতুন বিনিয়োগকারী এসেছে, তারাও নাকি সঠিক পরিস্থিতি বিশদে জানতে চেয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ক্লাবগুলিকে এফএসডিএল কর্তারাও নাকি কোনও সদর্থক বক্তব্য শোনাতে পারেননি। কারণ এই মুহূর্তে তত্ত্বাবধায়ক হিসাবে কাজ করছে বর্তমান ফেডারেশনের কমিটি। ফলে তাদের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বসে বাড়তি লাভও কিছু হবে না। গ্রীষ্মের ছুটির পর জুলাইয়ে ফেডারেশনের নতুন সংবিধান প্রকাশ্যে আসার কথা। তারপর ঠিক হবে নির্বাচনের তারিখ।  এফএসডিএল এখন নজর রাখছে সেদিকেই। যা কিছু হওয়ার হয়তো তারপরেই হবে। তবে ডুরান্ড কাপ থেকে যদি একাধিক দল নাম তুলে নেয় বা আইএসএল কোনওক্রমে করতে হয়, তাহলে কল্যাণ চৌবের নেতৃত্বাধীন কমিটির একাধিক ব্যর্থতার সঙ্গে যোগ হবে আরও একটি। যা ভারতীয় ফুটবলকে লজ্জাই উপহার দেবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *