উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: গত বৃহস্পতিবার আহমেদাবাদে ঘটে যাওয়া এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় (Ahmedabad Airplane Crash) একমাত্র জীবিত যাত্রী ছিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ (Vishwas Kumar Ramesh)। ওই বিমানে করে রমেশের ভাই অজয়ও (Ajay) লন্ডনে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে ফিরতে পারেননি। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন রমেশ। সেই সঙ্গে ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার পর তাঁর ভাইয়ের দেহও তুলে দেওয়া হয়েছে পরিবারের হাতে। আর ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিতে গিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
মঙ্গলবার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন বছর চল্লিশের রমেশ। বিমান দুর্ঘটনায় মৃত তাঁর ভাই অজয়ের দেহ বুধবার পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়েই লন্ডন থেকে চলে এসেছিলেন রমেশ-অজয়ের পরিবারের সদস্যরা। দিউতে (Diu) তাঁদের পারিবারিক বাড়ি রয়েছে। সেখানেই অজয়ের শেষকৃত্য আয়োজন করা হয়েছিল। কপালে-চোখের নীচে ব্যান্ডেজ থাকা অবস্থাতেই সেখানে পৌঁছেছিলেন রমেশ। কফিনবন্দি ভাইকে দেখেই নিজের কান্না চেপে রাখতে পারেননি তিনি। ভাইয়ের কফিন কাঁধে নিতে সাদা ধুতি পরে এগিয়ে এসেছিলেন রমেশ। হাঁটতে হাঁটতে বারবার চোখ মুছেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, গত ১২ জুন আহমেদাবাদের সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই মেঘানিনগরে ভেঙে পড়ে লন্ডনের গ্যাটউইকগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। বিমানে থাকা ২৪১ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪০ জনেরই। আর ওই বিমানের ১১এ আসনে বসেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক রমেশ। আর সেটি ছিল আপৎকালীন দরজার কাছেই। তাই সেখান থেকে বেরিয়ে এসে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে পেরেছেন রমেশ। কিন্তু এই দুর্ঘটনা কেড়ে নিয়েছে তাঁর ভাইকে।