উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল ডেস্ক: আমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনা (Ahmedabad Airplane Crash) নিয়ে শোকস্তব্ধ সারা দেশ। বৃহস্পতিবার গুজরাতের আমেদাবাদ থেকে লন্ডনের গ্যাটউইক বিমানবন্দরগামী এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ বিমানটি টেক অফ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই ভেঙে পড়ে। বিমানটিতে পাইলট কেবিন ক্রু সহ ২৪২ জন যাত্রী ছিলেন। ঠিক কতজনের মৃত্যু হয়েছে এখনও জানা না গেলেও প্রায় সকলেরই মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই ঘটনার পরই অনেকে তুলনা টানছেন ভারতে ঘটে যাওয়া আরও কিছু বড় বিমান দুর্ঘটনার। এর আগে দেশে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল ১৯৯৬ সালের ১২ নভেম্বর দিল্লির পশ্চিম সীমানা লাগোয়া হরিয়ানার চারখি-দাদরি গ্রামে। সৌদি আরবের বোয়িং ৭৪৭ এবং কাজাখস্তানের আইএল-৭৬ যাত্রিবাহী বিমানের মাঝ আকাশে মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছিল মোট ৩৫৯ জনের। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোলের নির্দেশ বুঝতে ভুল হওয়ার কারণেই দুই বিমান এক উচ্চতায় চলে এসেছিল সে দিন।
এর পাশাপাশি ১৯৮৮ সালে এই আমেদাবাদ বিমানবন্দরেই ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের (Indian Airways) ফ্লাইট ১১৩ অবতরণের সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। মৃত্যু হয় ১৩৩ জনের। এছাড়াও ১৯৭৩ সালের ৩১ মে দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইন্ডিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ৪৪০ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ৪৮ জন মারা গিয়েছিলেন ওই দুর্ঘটনায়। ২০২০ সালের ৭ অগস্ট করোনার সময় দুবাই থেকে কোঝিকোড়ে ফিরছিল এয়ার ইন্ডিয়ার আইএক্স ১৩৪৪। প্রতিকূল আবহাওয়ার মধ্যে বিমানবন্দরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে পিছলে খাদে পড়ে যায় বিমানটি। মৃত্যু হয় দুই পাইলট সহ ২১ জনের। ২০১০ সালে মেঙ্গালুরু বিমানবন্দরেও এয়ার ইন্ডিয়া এক্সপ্রেসের একটি বিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়। ১৫৮ জন মারা গিয়েছিলেন। ১৯৯৮ সালে পাটনা বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ভেঙে পড়ে অ্যালায়েন্স এয়ারের একটি বিমান, মৃত্যু হয়েছিল বিমানে সওয়ার ৬০ জনেরই।