নাগরাকাটাঃ আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অখিল ভারতীয় আদিবাসী বিকাশ পরিষদ কোন দলকে সমর্থন করবে তা নিয়ে কৌশলী পন্থা অবলম্বন করলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি বিরসা তিরকি। রবিবার বিকাশ পরিষদের জলপাইগুড়ি জেলা কমিটির গঠনের সভায় এব্যাপারে প্রশ্ন করলে তাঁর জবাব, আমাদের লোকরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন তাকেই সমর্থন করব। গত লোকসভা নির্বাচনে তিনি নিজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিতেই বিরসার বক্তব্য, “তখন সংগঠন ওই সিদ্ধান্তই নিয়েছিল। সেটাই সবার হয়ে আমি বলেছিলাম।”
এদিন নাগরাকাটার আদিবাসী সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রে বিকাশ পরিষদের একটি সভা হয়। সেখানে বহুদিন পরে একসময়ে সংগঠনের প্রভাবশালী নেতা ও নাগরাকাটার প্রাক্তন বিধায়ক শুক্রা মুন্ডার উপস্থিতি নজর কাড়ে। শুক্রা বলেন, “শুরু থেকেই বিকাশ পরিষদে আছি। ২০০৯ সাল থেকে সংগঠনের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি পদেও রয়েছি। আদিবাসী সমাজের প্রতি আমার দায়িত্ব রয়েছে। বিকাশ পরিষদ একটি সামাজিক সংগঠন। এতে শক্তিশালী করা আমাদের সবার দায়িত্ব। বর্তমানে আদিবাসীদের তরুণ প্রজন্ম ড্রাগে আসক্ত হয়ে পড়েছে। অনেকেই রুটি রুজির জন্য ভিনরাজ্যে চলে য়াচ্ছে। তাঁদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনতে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।” বর্তমানে শুক্রা বিজেপিতে রয়েছেন। তিনি কি গেরুয়া শিবির থেকে কিছুটা দূরে রয়েছেন? এই প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “এমনটা নয়। দলের রাজ্য কমিটির সদস্য পদে আছি। যখন আমাকে যেখানে ডাকা হয় সেখানে যাই। সভা সমিতিতেও উপস্থিত থাকি।”
এদিনের সভায় বিকাশ পরিষদের ২৯ সদস্যর জলপাইগুড়ি জেলা কমিটি গঠিত হয়। তাতে সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অগাস্টুস কেরকেট্টাকে। সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ হন যথাক্রমে সুশীল এক্কা ও রঞ্জিত টোপ্পো। অগাস্টুস বলেন, “যে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তা নিষ্ঠার সাথে পালন করব। আদিবাসীদের একসূত্রে গেঁথে তাঁদের আর্থ সামাজিক অবস্থার উন্নয়নই হবে প্রথম লক্ষ্য। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে দ্রুত সমস্ত চা বাগানে ইউনিট কমিটি গঠনের কাজ শুরু হবে।”
এদিনের সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিকাশ পরিষদের দার্জিলিং জেলা কমিটির সভাপতি সুমন টিগ্গা, সম্পাদক জুনস কেরকেট্টা, আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সভাপতি জয়প্রকাশ টিগ্গা, সম্পাদক সঞ্জয় এক্কা, মালবাজার ব্লক কমিটির সভাপতি অমরদান বাকলা, সম্পাদক বাবলু মাঝি, নাগরাকাটা ব্লক কমিটির সভাপতি বিকাশ বারলা সহ আরও অনেকে।