ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শেষে এখন বিসর্জন পর্ব চলছে। বিজয়া দশমীর বিষাদ সরিয়ে মিষ্টিমুখ আর প্রিয়জনদের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের আনন্দ উপভোগ করছে আমবাঙালি। বছরভর রাজনীতি করলেও এই কয়েকটা দিন নেতা-মন্ত্রীরাও আর পাঁচজনের মতো মেতে ওঠেন উৎসবে। লক্ষ্য অবশ্যই জনসংযোগ। সেই লক্ষ্যে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় কার্যালয়ে বিজয়া সম্মিলনীতে যোগ দিলেন সাংসদ তথা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ১৩ অক্টোবর তিনি যাবেন আমতলা, নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবারবাসীর সঙ্গে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।

দলের অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি এদিনও বিজেপির কড়া সমালোচনায় মুখর হতে দেখা গেল তাঁকে। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে তোপ দেগে অভিষেকের কার্যত হুঁশিয়ারি, ”বিসর্জন হবে, তবে বাংলা ও বাংলার মানুষের নয়। বিসর্জন হবে বিজেপি জমিদারদের।”

শুক্রবার সন্ধ্যায় দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে বিজয়া সম্মিলনীতে অভিষেকের হাতে নানা উপহার তুলে দেওয়া হয়। কেউ দিলেন মিষ্টির হাঁড়ি, কেউ আবার অন্য কোনও উপহার। তাঁদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে বিজেপির সমালোচনা করেন। সূত্রের খবর, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, ”ডিভিসি প্রতি বছর ম্যান-মেড বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করে। ভোট যত এগিয়ে আসে, ততই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ সংস্থাগুলি আমাদের না জানিয়ে নানা কাজ করে থাকে। আমাদের অফিসারদের সঙ্গে কোনওভাবেই ওঁরা কোনও সমন্বয় করেন না। আসলে বাংলাকে ওরা বঞ্চিত করতে চায়, ডোবাতে চায়।”
এরপরই বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক তোপ দাগলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। রাজনৈতিকভাবে তাদের হারানোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বললেন, ”২০২৪-এ কিছুটা পরাজিত হয়েছে, যেটুকু বাকি আছে, ২০২৬-এ তাও হয়ে যাবে। ওরা বাংলা থেকে ভোট পায় না বলে এসব ষড়যন্ত্র করে।” সূত্রের খবর, ডিভিসির এভাবে জল ছাড়ার বিরোধিতায় লক্ষ্ণীপুজোর পর থেকে রাস্তায় নেমে আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন