সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৬২১০ কোটি টাকার ঋণ জালিয়াতির অভিযোগে গ্রেপ্তার ইউকো ব্যাঙ্কের প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধকুমার গোয়েল। গত ১৬ মে ইডি প্রাক্তন এই ব্যাঙ্ককর্তাকে গ্রেপ্তার করলেও সোমবার এই তথ্য প্রকাশ্যে আনা হয়েছে। অভিযোগ, একাধিক বেসরকারি সংস্থাকে অন্যায়ভাবে এই ঋণ মঞ্জুর করেছিলেন সুবোধ। বিনিময়ে সেই টাকার মোটা অঙ্কের ভাগ পান তিনি।
ইডির অভিযোগ অনুযায়ী, ইউকো ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান পদে থাকাকালীন কনকাস্ট স্টিল অ্যান্ড পাওয়ার লিমিটেড (সিএসপিএল)-কে ১৪০০ কোটি টাকার ঋণ মঞ্জুর করেন সুবোধকুমার। এই ঋণ দেওয়ার সময় নির্দিষ্ট নিয়মাবলী পালন করা হয়নি ব্যাঙ্কের তরফে। টাকা মঞ্জুর হওয়ার পর সেই টাকা ধাপে ধাপে তুলতে শুরু করে সংস্থা। ইডির দাবি অনুযায়ী, সেই টাকার মোটা অঙ্কের ভাগ পান অভিযুক্ত ওই ব্যাঙ্ককর্তা। পাশাপাশি বিপুল গয়না, স্থাবর সম্পত্তি ও বহুমূল্য উপহার সংস্থার তরফে দেওয়া হয় সুবোধকে। এর পাশাপাশি একই ছকে আরও একাধিক সংস্থার ঋণ মঞ্জুর করেন তিনি। সবমিলিয়ে এই ঋণের মোট অঙ্ক ছিল ৬২১০ কোটি টাকা।
এই মামলার তদন্তে নেমে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সিএসপিএল সংস্থার প্রধান প্রমোটার সঞ্জয় সুরেকাকে গ্রেপ্তার করে ইডি। কলকাতায় তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়, প্রায় ৫ কোটি টাকা নগদ ও বহুমূল্য সামগ্রী। অভিযুক্তকে জেরা করেই ইডির খাতায় নাম ওঠে ইউকো ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যান সুবোধের। আর্থিক তছরূপ কাণ্ডের তদন্তে নেমে গত এপ্রিম মাসে প্রাক্তন ইউকো কর্তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানো হয় ইডির তরফে। দাবি করা হচ্ছে, সেই অভিযানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র হাতে পান তদন্তকারীরা। তার ভিত্তিতে গত ১৬ মে দিল্লিতে নিজের বাড়ি থেকে ইডির তদন্তকারীরা গ্রেপ্তার করেন সুবোধকে। গত ১৭ মে তাঁকে আদালতে তোলা হলে ২১ মে পর্যন্ত সুবোধকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।
উল্লেখ্য, গত জানুয়ারি মাসে সিএসপিএল সংস্থার কর্তা সঞ্জয় সুরেকারের ২১০ কোটি টাক্র সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছিল ইডি। এই তালিকায় ছিল তাঁর বহু স্থাবর সম্পত্তি ও বাড়ি।