৩ দিন ফ্রিজারে ছেলের মৃতদেহ, পাশে শুয়ে বাবা-মা! হাড়হিম কাণ্ড মালদহে

৩ দিন ফ্রিজারে ছেলের মৃতদেহ, পাশে শুয়ে বাবা-মা! হাড়হিম কাণ্ড মালদহে

ব্যবসা-বাণিজ্যের /BUSINESS
Spread the love


বাবুল হক, মালদহ: নাবালক ছেলের রহস্যমৃত্যু! বাড়িতে ফ্রিজার বানিয়ে তাতেই তিনদিন দেহ রাখলেন মা-বাবা। শুয়ে থাকলেন পাশেই! হাড়হিম কাণ্ড মালদহের মানিকচকে। ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

মৃত নাবালকের নাম শ্রীকান্ত মণ্ডল। সে মালদহের মানিকচক ব্লকের ভূতনিচরের হীরানন্দপুরের কেদারটোলার বাসিন্দা। একটি বেসরকারি আবাসিক হোস্টলের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া ছিল। দিন কয়েক আগে হস্টেলেই তার রহস্যমৃত্যু হয়। পরিবারের অভিযোগ, স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ছেলের। দেহের ময়নাতদন্ত হলেও সৎকার না করে বাড়িতেই সংরক্ষণ করে রাখেন নাবালকের বাবা-মা। বরফ জড়িয়ে বাক্সবন্দি করা হয়েছে দেহ। কিন্তু কেন এই কাণ্ড ঘটালেন তাঁরা?

মৃতের বাবা প্রেমকুমার মণ্ডল এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা দাবি করেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত এবং দোষীকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত দেহ সৎকার্য করা হবে না।
দোষী কে? কী তাঁদের অভিযোগ? স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই মৃত্যুর হয়েছে অষ্টম শ্রেণিতে পাঠরত ছেলের। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে সেই বেসরকারি স্কুলের মালিক তথা প্রধান শিক্ষক সাজির হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে হবে। ঘটনার পর তিনদিন পেরিয়ে গিয়েছে। তারপরেও পুলিশ অভিযুক্ত স্কুল প্রধানকে গ্রেপ্তার করছে না বলে অভিযোগ।

দেহ সংরক্ষণের কারণ হিসাবে তাঁরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে কোনও রকম গাফিলতি হলে আবার ময়নাতদন্ত করতে হবে। তাই দেহ সংরক্ষণ করে রেখেছেন তাঁরা। মৃতের বাবা প্রেমকুমার মণ্ডল শুক্রবার রাতেও মানিকচক থানায় এই ঘটনায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতে ওই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মালিককে মৃত্যুর জন্য দায়ী করা হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় এদিন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে ওই বেসরকারি আবাসিক স্কুলের হোস্টেলেই মিলেছিল ১৩ বছরের শ্রীকান্তের ঝুলন্ত দেহ। যে ঘরে একসঙ্গে অন্তত ৪০ জন পড়ুয়া থাকে, সেই ঘরেই থাকত অষ্টম শ্রেণির ওই আবাসিক পড়ুয়া। তিন বছর ধরে সে ওই স্কুলে পড়ত। হোস্টেলে থাকত। হোস্টেলের ঘরেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। ঘটনার পর থেকেই পরিবারের তরফে অভিযোগ আত্মহত্যা নয়, স্কুল কর্তৃপক্ষের অত্যাচারেই তাঁদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। ওই স্কুলের এক শিক্ষিকা লক্ষ্মীরানি সরকার পুলিশকে জানিয়েছেন, সেই রাতে চিৎকার চেচামেচিরস জন্য শ্রীকান্তকে বকাঝকা করা হলেও কোনওভাবেই মারধর করা হয়নি। ঘটনার তদন্তে পুলিশ।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *