১০.৪০-এর ‘লাস্ট’ মেট্রো বন্ধ হলেও খসছে বাড়তি ১০ টাকা, বাড়ছে ক্ষোভ

১০.৪০-এর ‘লাস্ট’ মেট্রো বন্ধ হলেও খসছে বাড়তি ১০ টাকা, বাড়ছে ক্ষোভ

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


স্টাফ রিপোর্টার: রাতের ১০টা ৪০ মিনিটের শেষ মেট্রো বন্ধ হয়ে গিয়েছে।  অথচ সেই মেট্রোয় চড়লে যে বাড়তি ১০ টাকা খসত তা এখনও অব‌্যাহত রাতের শেষ দুই মেট্রোর যাত্রীদের। যা নিয়ে নিত‌্য মেট্রো স্টেশনে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যাত্রীদের লাগছে অশান্তি, তর্কাতর্কি। যাত্রীদের অভিযোগ, নিয়ম মেনে মেট্রো চলছে না। আধ ঘণ্টার পথ পার করতে লেগে যাচ্ছে এক ঘণ্টা। আর গেট দিয়ে বেরনোর সময় রাত সাড়ে ১০টা বেজে গেলেই কেটে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি দশ টাকা।

যাত্রীদের বক্তব‌্য, আগে না হয়, লাস্ট মেট্রোর অজুহাত দেখিয়ে বলা হত, সাড়ে ১০টা পার করে গেলেই এই টাকা কেটে নেওয়া হয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে। কিন্তু এখন তো ১০টা ৪০ মিনিটের মেট্রোই বন্ধ হয়ে গিয়েছে, তাহলে এখনও কেন ওই বাড়তি ১০ টাকা কাটা হয়। এর কোনও সদুত্তর নেই কর্তৃপক্ষের কাছে। শহিদ ক্ষুদিরাম স্টেশনের স্টেশন মাস্টারের বক্তব‌্য, আমরা অনেকবার উচ্চ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।

রাত সাড়ে ন’টা এবং তার আগের মেট্রো যখন প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছয় তখন বেশিরভাগ দিনই পৌনে ১১টা থেকে ১১টা বেজে যাচ্ছে। গীতাঞ্জলি, সূর্য সেন, নজরুল, ক্ষুদিরামে যখন পৌঁছচ্ছে, অধিকাংশ দিনই শেষ মেট্রোর সময় সাড়ে ১০টা পার করে যাচ্ছে। ফলে কেটে যাচ্ছে এই বাড়তি টাকা। যাত্রীদের বক্তব‌্য, আগে সাড়ে ১০টার আগেই মেট্রো প্রান্তিক স্টেশনে পৌঁছত। কিন্তু পাতাল দুর্ভোগের জেরে এখন ঘড়ির কাঁটা ১১টার দিকে এগিয়ে যায়। তারপর স্টেশনে নেমে তাড়াহুড়ো করে বেরোন প্রত্যেকে। আর স্মার্ট কার্ড গেটে ছোঁয়ালেই কেটে যায় বাড়তি ১০ টাকা। অনেকেই তা খেয়াল করছেন না।

স্টেশনে থাকা মেট্রোর কর্মীরা জানাচ্ছেন, কেউ চাইলে কার্ড পাঞ্চ না করেও বেরিয়ে যেতে পারছেন। তবে পরদিন তাঁকে কার্ডের লক খোলাতে আসতে হচ্ছে। যাত্রীদের বক্তব‌্য, সকালে অফিস টাইমে টিকিট কাউন্টারে লাইন থাকে। তখন কারও সময় থাকে না কার্ডের লক খুলতে লাইনে দাঁড়ানোর। তাই বাধ‌্য হয়েই নিত‌্যযাত্রীরা রোজ এই ১০ টাকা বাড়তি খসিয়েই বেরিয়ে যান। ফলে গত মাস দেড়েকের হিসাবে অন্তত ১০টি স্টেশন থেকে এই বাবদই মেট্রোর কোষাগারে লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকেছে। যাত্রীদের কথায়, পরিষেবার এই বেহাল দশা, অথচ তাদেরই কারচুপিতে পকেট কাটা হচ্ছে মানুষের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *