বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত, নয়াদিল্লি: দেশজুড়ে প্রায় ১০ লক্ষ শিক্ষকপদ শূন্য। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়, নবোদয় বিদ্যালয় ও রাজ্য সরকার পরিচালিত স্কুল। দেশের শিক্ষা চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল সংসদের শিক্ষা, নারী, শিশু, ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ সংক্রান্ত স্ট্যান্ডিং কমিটি।
কমিটির চেয়ারম্যান কংগ্রেস সাংসদ দ্বিগ্বিজয় সিং রিপোর্টে কেন্দ্রকে সতর্ক করে জানান, এখনই অস্থায়ী শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ করে স্থায়ী নিয়োগ করতে হবে। কমিটির সদস্য সাংসদ বিকাশ ভট্টাচার্য জানান, কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে নয়ছয় করে দিতে চাইছে। জাতীয় শিক্ষানীতি লাগু হলে পড়াশোনা শুধুমাত্র বিত্তবানরাই করতে পারবে। দেশজুড়ে জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে উঠেপড়ে লেগেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই শিক্ষানীতি যে দেশের পিছিয়ে পড়া, গরিব, তফসিলি জাতি-উপজাতিদের আরও পিছিয়ে দেবে তা স্পষ্ট করল কমিটি।
রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, নতুন শিক্ষানীতিতে আরও অনেক ভাগে ভাগ করা হয়েছে। কিন্তু এর সুফল পাচ্ছে না ছাত্রছাত্রীরা। তাই এনসিইআরটির পাঠক্রমে ব্যপক সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এছাড়াও প্রাথমিক স্তরে শিক্ষক তৈরির জন্য গত তিন দশক ধরে ব্যাচেলর বিএলএড প্রোগ্রাম ধারাবাহিকভাবে কাজ করে আসছে। কেন্দ্রের বর্তমান শিক্ষানীতি সেই ব্যবস্থাকে ভেঙে দিতে চাইছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়েছে, ১৯ সাল থেকে এনসিটিই আর শিক্ষক নিয়োগ করছে না। ফলে শিক্ষকপদে এই বিরাট শূন্যতা তৈরি হয়েছে। শিক্ষা নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার ছিনিমিনি খেলছে বলে সামাজিক মাধ্যমে লেখেন কংগ্রেস সাংসদ জয়রাম রমেশ।