আলাপন সাহা: সিএবি লিগ ফাইনালে বিতর্ক যেন পিছু ছাড়তে চাইছে না। বিতর্কিত আম্পায়ারিং তো রয়েইছে। ক্রিকেটাররাও ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েছিলেন একটা সময়। সোমবার পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ ছিল খেলা। শেষমেশ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে শুরু হয় ম্যাচ। মঙ্গলবার এক ঘণ্টায় মাত্র সাড়ে তিন ওভার করে ইস্টবেঙ্গল। যা নিয়েও তুমুল জলঘোলা হয়। আর পঞ্চম দিনেও বিতর্ক এড়ানো গেল না। এদিন হারের মুখে দাঁড়িয়ে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে দেখা গেল লাল-হলুদকে।
চতুর্থ দিনে সিএবি লিগ ফাইনালে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে অব্যাহত ছিল ভবানীপুরের দাপট। ৫৯৪/৫ স্কোরে বুধবার খেলা শুরু করে ভবানীপুর। সাত ওভারে ৪৯ রান জুড়ে ডিক্লেয়ার দেয় তারা। তখন তাদের স্কোর ৬৪৩/৬। বিবেক সিং অপরাজিত থাকলেন ১৭৬ রানে। প্রদীপ্ত প্রামাণিক ফেরেন ৪৮ রানে। পাহাড়প্রমাণ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ইস্টবেঙ্গল, ফিরে যান ওপেনার অভিষেক দাস (৫)। কিছুক্ষণের মধ্যেই আহত হয়ে মাঠ ছাড়েন অন্য ওপেনার অরিন্দম ঘোষ (১৮)। সতীর্থরা এগিয়ে না আসায় ভবানীপুরের দুই ক্রিকেটার কাঁধে তুলে ডাগআউটে পৌঁছে দেন তাঁকে। সাত্যকি দত্ত (৫৩) ও আকাশ ঘটক (৩২) জুটিতে ৫৫ রান জোড়েন। তবে এই দুই ব্যাটারের সঙ্গে সন্দীপন দাসও (৯) পরপর ফিরে যাওয়ায় চাপ বাড়ে ইস্টবেঙ্গলের। দুর্দান্ত ক্যাচে আকাশকে ফেরার সাকির হাবিব গান্ধী। দিনের শেষে লাল-হলুদ ১৪৭/৪।
বৃহস্পতিবার, শেষ দিন দুই দলের কর্মকর্তাদের মধ্যে হাতাহাতি পরিস্থিতি তৈরি হয়। যা থামাতে রীতিমতো নাজেহাল হতে হয় সিএবি কর্তাদের। এমনকী পুলিশও ডাকতে হয়। পঞ্চম দিন ঠিক কী ঘটেছে? ভবানীপুরের ইনিংসের জবাবে ইস্টবেঙ্গলের স্কোর তখন ৮ উইকেটে ২৪৩। কিন্তু বিকেলে বৃষ্টি নামে। বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ করে দেন আম্পায়াররা। তবে ভবানীপুর ক্লাবের দাবি, ওই সময় সামান্য বৃষ্টিতেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ম্যাচ। আম্পায়াররা চাইলে তখনও আরও কিছুক্ষণ ম্যাচ চালানো যেত।
তখন ভবানীপুরের জেতার জন্য মাত্র ২ উইকেট প্রয়োজন। সেই কারণেই বাড়তি উদ্যম লক্ষ্য করা যায় তাদের মধ্যে। তবে, এভাবে খেলা বন্ধ হয়ে যাওয়াটা মেনে নিতে পারেননি তাঁরা। অভিযোগ, মশাল ব্রিগেডের দুই অপরাজিত ক্রিকেটার ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায় ও কণিষ্ক শেঠ মাঠ ছেড়ে বেরনোর সময় ভবানীপুরের এক খেলোয়াড়ের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন। তাঁরা কটূক্তিও করেন। এর প্রতিবাদ করেন ভবানীপুর কর্তারা। এমনকী হাতাহাতি পরিস্থিতিও তৈরি হয়। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বৃষ্টির কারণে বন্ধ রয়েছে ম্যাচ। নৈশালোকের ম্যাচে বৃষ্টি থামলে শুরু করা যাবে কিনা, সময় বলবে।