সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টানা দু’ম্যাচে হেরে বেকায়দায় নাইট রাইডার্স। গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল, অথচ ৮ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে পড়ে আছে লিগ টেবিলের সপ্তম স্থানে। গুজরাটের কাছে হেরে রাহানেদের প্লে অফের আকাশে ঘন কালো মেঘ। হাতে আর মাত্র ছটি ম্যাচ। কালো মেঘ সরিয়ে কি বেগুনি-সোনালি আলো উঠবে নাইটদের আকাশে? প্লে অফে উঠতে হলে কী করতে হবে কেকেআর’কে?
সাধারণত ধরা হয়, প্লে অফ নিশ্চিত করতে অন্তত ১৬ পয়েন্ট দরকার। তবে গতবারই যেমন দেখা গিয়েছে, ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে অফে গিয়েছিল আরসিবি। তবে সেখানে অনেক যদি-কিন্তুর অঙ্ক থাকে। চলে আসে নেট রান রেটের সমীকরণ। সেখানে বরং কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারে নাইটরা। তাদের নেট রান রেট +.২১২। চতুর্থ স্থানের পাঞ্জাব (+.১৭৭) বা পঞ্চম স্থানের লখনউয়ের (+.০৮৮) থেকে কিছুটা এগিয়ে রাহানেরা।
আইপিএলের সাপ-লুডোর খেলায় যখন তখন এই হিসেবে বদলে যেতে পারে। কারণ ৮ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শ্রেয়স ও পন্থের দল অনেকটাই এগিয়ে। গুজরাটের বিরুদ্ধে ৪৯ রানে হারের ফলে সমস্যা আরও বেড়েছে কেকেআরের। নাইটরা যদি পরের ছটি ম্যাচের সবকটি জিততে পারে, তাহলে পয়েন্ট দাঁড়াবে ১৮। সেক্ষেত্রে প্লে অফ একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যাবে। পাঁচটি ম্যাচ জিতলে তারা শেষ করবে ১৬ পয়েন্টে। প্লে অফের আশা তখনও বেঁচে থাকবে। কিন্তু কাজটা একেবারেই সহজ নয়। গুজরাটের বিরুদ্ধে হারের পর মেন্টর ব্র্যাভো তো বলেই দিলেন, ব্যাটারদের আত্মবিশ্বাসের সমস্যা রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে অতীতের দিকে তাকাতে পারেন নারিন-রাসেলরা। ২০১৪ সালে ৭ ম্যাচে মাত্র ২টি জয় ছিল নাইটদের। সেখান থেকে নাটকীয় প্রত্যাবর্তন ঘটিয়েছিল তারা। আইপিএল চ্যাম্পিয়নও হয়। যদিও এখনও পর্যন্ত নাইটদের খেলায় সেই আগুনে মেজাজটা চোখে পড়েনি। কেকেআরের পরের ম্যাচ ২৬ এপ্রিল পাঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে। সেই ম্যাচে হারলে বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত। আর জয় পেলে, সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। এবার দেখা যাক, রাহানের নেতৃত্বে নাইটরা সেই ‘মিরাকল’টা ঘটাতে পারে কি না?
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে ফলো করুন