সৌরজগতের বাইরে আরেক পৃথিবী! সুদূর গ্রহে ‘প্রাণের স্পন্দন’, জোরাল দাবি গবেষকদের

সৌরজগতের বাইরে আরেক পৃথিবী! সুদূর গ্রহে ‘প্রাণের স্পন্দন’, জোরাল দাবি গবেষকদের

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিপুল সৌরজগতে একমাত্র শস্য-শ্যামলা পৃথিবীতেই ধুকপুক শব্দে প্রবহমান প্রাণের স্পন্দন। হাজার গবেষণাতেও পৃথিবীর আরেকটি দোসর অমিল। অন্তত এখনও পর্যন্ত। মানুষেরও অবশ্য চেষ্টার শেষ নেই। যুগের পর যুগ ধরে মেধা, পরিশ্রম দিয়ে নিরলস গবেষণায় বিজ্ঞানীরা খুঁজে চলেছেন আরও একটি ধরিত্রীকে, প্রাণধারণের আরেক স্থানকে। কিন্তু সে যেন ‘ধরা দিয়েও দেয় না ধরা’। কখনও আমাদের সৌরজগতে, কখনও বাইরে কোথাও বিন্দুমাত্র ইতিবাচক কিছু প্রতীকের হদিশ মিললেও শেষটা যেন শূন্য। জল-হাওয়া-অক্সিজেন-হাইড্রোজেন সমৃদ্ধ আরেকটি গ্রহের অবস্থান প্রায় অসম্ভব। কিন্তু এত হতাশার মাঝেও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেষক ফের আলোর সন্ধান পেয়েছেন। তাঁদের দাবি, সৌরজগতের বাইরে থাকা একটি গ্রহ আশা দেখিয়েছে। সেখানে প্রাণ ধারণের সম্ভাবনা রয়েছে। এই দাবি কতটা সত্য, তার জন্য আরও এক, দু’বছরের অপেক্ষা করতে হবে। তা জানালেন বিজ্ঞানীরাই।

গ্রহের নাম কেটু-এইটিন বি (K2-18B)। অন্য এক সৌরজগতের অন্তর্গত এই গ্রহটি আমাদের পৃথিবী থেকে অনেক অনেক দূরে অবস্থিত। তবে তার আবহাওয়ায় এমন এক রাসায়নিক বিক্রিয়া সম্ভব, যা অতি সহজ উপায় তৈরি করে অণু! আর কে না জানে জৈব অণু আদতে প্রাণেরই লক্ষ্ণণ? নাসার জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের মাধ্যমে K2-18B’র অস্তিত্ব চোখে পড়েছে কেমব্রিজের একদল বিজ্ঞানীর। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে আড়াই গুণ ছোট। অবস্থান ১২৪ আলোকবর্ষ দূরে! যে দূরত্ব মানুষ একজীবনে অতিক্রম করতেই পারবে না। এর আকাশে একটি লাল রঙের ‘সূর্য’ অর্থাৎ নক্ষত্র রয়েছে। তার চারপাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে K2-18B. জেমস ওয়েব টেলিস্কোপের শক্তিশালী বিশ্লেষক ক্ষমতা থেকে এসব তথ্য জানা গিয়েছে। এই গ্রহের আবহাওয়ার রাসায়নিক প্রকৃতির বিশ্লেষণ করে নাসার টেলিস্কোপ যে তথ্য পাঠাচ্ছে, তা যথেষ্ট ইতিবাচক। বিজ্ঞানীরা তা খতিয়ে দেখে জানাচ্ছেন, গ্রহটিতে জৈব অণু তৈরি এবং তা স্থায়ী হওয়ার মতো পরিবেশ আছে।

কেমব্রিজে এই সংক্রান্ত গবেষকদলের অন্যতম প্রধান বিজ্ঞানী নিক্কু মধুসূদন। তাঁর কথায়, ”ওই গ্রহের আবহাওয়ার মূল রাসায়নিক উপাদান ডাইমিথাইল সালফাইড ও ডাইমিথাইল ডিসালফাইড। জলজ প্রাণী, ব্যাকটেরিয়া এই দুটি গ্যাস সরবরাহ করে আমাদের পৃথিবীকে, যা প্রাণধারণের অন্যতম মৌলিক উপাদান। এখন দেখার বিষয়, K2-18B গ্রহে এই দুটি গ্যাসের পরিমাণ কতটা আছে? তা যদি প্রাণী বেঁচে থাকার পক্ষে পর্যাপ্ত হয়, তাহলে বলতেই হবে যে এই ছায়াপথে আমাদের পৃথিবী ছাড়াও কোথাও প্রাণের অস্তিত্ব আছে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে আরও দু, এক বছর সময় লাগবে।” তা লাগুক, তবু চাওয়া একটাই। দূর থেকে দূরান্তে হলেও নীলগ্রহের একাকীত্ব কাটুক, নিজেরই মতো কারও অস্তিত্বের খবর আসুক সূর্যের আলো মেখে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *