সুন্দরবনের অরক্ষিত এলাকা দিয়ে ঢুকতে পারে জঙ্গি! জল-স্থলে কড়া নিরাপত্তা উপকূলে

সুন্দরবনের অরক্ষিত এলাকা দিয়ে ঢুকতে পারে জঙ্গি! জল-স্থলে কড়া নিরাপত্তা উপকূলে

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


গোবিন্দ রায়, বসিরহাট: ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি আবহে রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বাড়ানো হয়েছে আরও নিরাপত্তা। রাজ্যের বসিরহাট সীমান্তের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে রয়েছে সুন্দরবন। ওই এলাকায় কাটাতারের বেড়া নেই। বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ, জঙ্গিদের রাজ্যে ঢুকে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। সেজন্য আরও বেশি করে কড়া নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ল জল ও স্থল সীমান্তে।

ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গোয়েন্দা দপ্তরের আশঙ্কা, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে হামলা হতে পারে। জঙ্গি সংগঠনগুলো ওই এলাকা দিয়ে ঢোকার চেষ্টাও করতে পারে। সেজন্যই ওইসব এলাকায় বিএসএফ তৎপরতা শুরু হয়েছে। দিন ও রাতে জল ও স্থলভাগে কড়া নজরদারি চলছে। বসিরহাটের স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত মোট ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে জল সীমান্ত এলাকা ৫৫ কিমি। বাকি অংশ রয়েছে স্থলভাগে। এই এলাকা দিয়ে যাতে কোনওভাবে সন্ত্রাসবাদি কাজকর্ম না হতে পারে, সেজন্য অতিরিক্ত বাহিনীও মোতায়েন হয়েছে। অত্যাধুনিক র‍্যাডার, ড্রোনে চোখ রাখছে বাহিনী। নাইটভিশন ক্যামেরার মাধ্যমেও বিস্তীর্ণ এলাকায় চলছে নজরদারি।

শুধু তাই নয়, ভারতীয় সীমানায় আরও বেশি করে স্পিডবোটের মাধ্যমে চলছে নজরদারি। প্রতি বছর এই সময় সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা আছে। ভারতের কোনও মঠস্যজীবীকে জলভাগে দেখা গেলে পরিচয়পত্র দেখে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ। এছাড়াও সুন্দরবনের নদী, খাঁড়ি দিয়ে বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকারীদের এদেশে ঢোকার আশঙ্কা আছে। কয়েক সপ্তাহ আগে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকা দিয়ে একাধিক বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ঢুকেছিল। তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারপর থেকে আরও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখা হবে না বলে আধিকারিকদের তরফে জানানো হয়েছে।

এদিকে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের অবনতি আবহে বসিরহাটে বিশেষ কন্ট্রোল রুম খুলেছে বসিরহাট পুলিশ জেলা। মূল লক্ষ্য, সীমান্ত এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পরিস্থিতির উপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা ও নিরাপত্তা বোধ জোরদার করা। বসিরহাট পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার ডাঃ হোসেইন মেহেদি রহমান বলেন, “প্রতিনিয়ত বিএসএফ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে। পাশাপাশি একইভাবে সীমন্ত এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারির পাশাপাশি পেট্রোলিং করা হচ্ছে। এলাকার কোথাও গতিবিধির সমস্যা দেখা গেলে ২৪ ঘন্টা অভিযোগ জানানোর জন্য বিশেষ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।” সীমান্ত অঞ্চলে যে কোনও গুজব যাতে না ছড়ায় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে বলে খবর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *