স্টাফ রিপোর্টার: সীমান্তবর্তী সংখ্যালঘু এলাকায় ফের সম্প্রীতি নষ্ট করতে পারে বিজেপি। মঙ্গলবার বসিরহাট ও যাদবপুর-ডায়মন্ড হারবার দুই সাংগঠনিক জেলা নিয়ে দলীয় বৈঠকে এ ব্যাপারে হুঁশিয়ারি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
এসআইআর তো বটেই একটি নির্দিষ্ট ধর্মকে টার্গেট করে বিজেপি অশান্তির আগুন জ্বালানোর ষড়যন্ত্র করতে পারে বলে দলীয় নেতৃত্বকে সতর্ক করে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বৈঠকে ছিলেন তৃণমূল রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও। সেখানেই বসিরহাটের সঙ্গে যাদবপুর-ডায়মন্ডহারবার জেলাতেও বিজেপির ঘৃণ্য চক্রান্ত নিয়ে দলের সর্বস্তরের কর্মীদের সতর্ক করেন অভিষেক। বলেন, কেউ যেন গেরুয়া শিবিরের এই ফাঁদে পা না দেন।
বসিরহাট ও সন্দেশখালি নিয়ে এর আগেও লোকসভা ভোটের মুখে সাম্প্রদায়িক উসকানির অভিযোগ-সহ মহিলাদের অসম্মান করার মিথ্যা প্লট বানিয়ে বাংলাকে বদনাম করার অভিযোগে বিজেপিকে কোণঠাসা করেছিল তৃণমূল। আবারও বিধানসভা ভোটের আগে এসআইআরকে সামনে রেখে নতুন করে যাতে কোনও অশান্তির ঘটনা না ঘটাতে পারে, সেজন্য সতর্ক থেকে জনসংযোগ বাড়ানোর নির্দেশ দেন অভিষেক। ষড়যন্ত্র করে বসিরহাট লোকসভার উপনির্বাচন বিজেপি আটকে রেখেছে, তবে বিধানসভা ভোটের সঙ্গে সেই নির্বাচন হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দেন তিনি।
সূত্রের খবর, অভিষেক সতর্ক করে বলেছেন, একটি বিশেষ রাজনৈতিক পক্ষ সংখ্যালঘুদের মধ্যেও বিভাজনের চেষ্টা করছে। হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়কের সঙ্গে স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের সভাপতির মধ্যে বিরোধ নিয়ে অসন্তুষ্ট দল। বিশেষ করে পুজোয় জনসংযোগ বাড়াতে বলেছেন অভিষেক। সেই সুবাদেও পুজোর সময় এলাকায় যাতে শান্তি বজায় থাকে সেদিকে নজর রাখতে বলা হয়েছে। অভিষেকের নিজের কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। সেই কেন্দ্রেও সজাগ দৃষ্টি সাংসদের। উৎসবের মধ্যে কেউ কোনও সমস্যায় পড়লে সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন তিনি। পুজো কমিটিগুলোর মাধ্যমে জনসংযোগ বাড়ানোর কথা কথা বলেছেন। বড় সভা না করে ছোট ছোট সভায় রাজ্য সরকারের সামাজিক প্রকল্পে তুলে ধরে ঢালাও প্রচারের নির্দেশ দেন ডায়মন্ড হারবার-যাদবপুর জেলাকেও। দুই সাংগঠনিক জেলার ক্ষেত্রেই টাউন ও ব্লক সভাপতিদের প্রস্তাবিত নামের তালিকা নিয়েছে দল। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।