জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে চলছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বাংলায় এসআইআর হওয়া নিয়েও চলছে জোর রাজনৈতিক তরজা। সেই আবহেই এবার নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেলেন বাসিন্দা প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন নিয়ে দেশজুড়ে শুরু হয়েছিল শাসক-বিরোধী রাজনৈতিক চাপানউতোর। গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বাংলাতে বিজেপি নাগরিকত্ব আইন নিয়ে জোর প্রচারও করেছিল। রাজ্যের বহু মানুষ নাগরিকত্বের ফর্মফিলাপও শুরু করেন। সেই আবেদন করেন ভারতের নাগরিত্বক পেলেন ওই বৃদ্ধ। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা ডাক বিভাগের প্রাক্তন কর্মী ছিলেন প্রমথরঞ্জন বিশ্বাস। ২০০৯ সালে তিনি ভারতে এসেছিলেন। সপরিবারে উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া করে থাকতে শুরু করেন। বর্তমানে তিনি হেলেঞ্চা বইচিডাঙা এলাকায় বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন।
২০১৮ সালে তিনি মতুয়া জাতির সংশাপত্র পেয়েছিলেন বলে খবর। চলতি বছর এপ্রিল মাসে তিনি বারাসতের হৃদয়পুর এলাকা থেকে অনলাইনের মাধ্যমে সিএএ আবেদন করেছিলেন। তাঁর কাছে থাকা যাবতীয় তথ্য, কাগজপত্র পেশ করেছিলেন সরকারের কাছে। সম্প্রতি তিনি নাগরিকত্ব সার্টিফিকেট পেলেন বলে খবর। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় বিজেপি নেতা দেবদাস মণ্ডল বলেন, “নাগরিকত্বের দাবি ছিল মতুয়া ও উদ্বাস্তু মানুষদের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে এজন্যকে ধন্যবাদ। শুধু তাই নয় সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকেও ধন্যবাদ। তিনি সবসময় জানিয়েছেন, নাগরিকত্ব পাবেন আবেদনকারী উদ্বাস্তুরা।” তিনি পাশাপাশি তৃণমূলকেও আক্রমণ করেন। নাগরিকত্ব ইস্যু নিয়ে তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে বলে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বনগাঁর তৃণমূল সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, “আমি এখানকার নাগরিক। আমি আবার নাগরিকত্ব নেব কেন? ওরা মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এ সমস্ত করাচ্ছে। ওদের বিধায়ক স্বপন মজুমদার, অশোক কীর্তনীয়ারা আবেদন করছেন না।”