‘সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করলেও পাকিস্তান বিশ্বাসঘাতক’, চিনকেও বার্তা মোদির

‘সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করলেও পাকিস্তান বিশ্বাসঘাতক’, চিনকেও বার্তা মোদির

খেলাধুলা/SPORTS
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বাধীনতার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে চলা শত্রুতা মেটাতে বারবার বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছে ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জমানাতেও সে চেষ্টা হয়েছিল। যদিও প্রতিবেশীর মানসিকতায় বদল হয়নি। বন্ধুত্বের পালটা প্রতিবারই মিলেছে বিশ্বাসঘাতকতা। রবিবার ‘লেক্স ফ্রিডমান’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ‘সন্ত্রাসবাদের জনক’ পাকিস্তানকে কার্যত তুলোধোনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পাশাপাশি ভারতের আর এক প্রতিবেশী চিনকে বার্তা দিলেন তিনি।

মার্কিন পডকাস্ট চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, “আমি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। যাতে দুই দেশের সম্পর্কের নয়া সূত্রপাত হতে পারে। তবে সব সদর্থক প্রচেষ্টাই ব্যর্থ হয়েছে। প্রতিবারই ওপার থেকে বিশ্বাসঘাতকতা পেয়েছি আমরা। এই পরিস্থিতিতে আমরা শুধু আশা করতে পারি ওদের যেন সদবুদ্ধির উদয় হয় এবং শান্তির পথে হাঁটে। ওখানকার জনতাও অত্যন্ত বিরক্ত।” পাশাপাশি কড়া সুরে পাকিস্তানকে সন্ত্রাসবাদের জনক বলে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এখন গোটা বিশ্ব জানে সন্ত্রাসবাদের শিকড় কোথায় পোঁতা রয়েছে। চিরকাল সন্ত্রাসবাদের কেন্দ্র হয়ে রয়েছে ওরা। বিশ্বের যেখানেই জঙ্গি হামলা হোক না কেন, কোনও না কোনও ভাবে তার যোগসূত্র মেলে পাকিস্তানে। ৯/১১ হামলার কথাই দেখুন, ওই হামলার মূলচক্রী ওসামা বিন লাদেন। তিনি কোথা থেকে এলেন? তিনি পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিলেন।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “বারবার শত্রুতাকে দূরে সরিয়ে বন্ধুতের হাত বাড়িয়েছি আমরা। তা সে লাহোর বাসযাত্রা হোক বা আমার শপথে আমন্ত্রণ। যতবার বন্ধুত্বের হাত বাড়ান হয়েছে ততবারই মিলেছে বিশ্বাসঘাতকতা ও বিরোধিতা। এখন পাকিস্তানের জনতাও চায় হিংসা ও ভয়মুক্ত পরিবেশ। আশা করব পাকিস্তান নিজের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে চলবে।”

পাশাপাশি ভারতের আর এক প্রতিবেশী চিনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত প্রসঙ্গে এই সাক্ষাৎকারে খোলাখুলি আলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০২০ সালে গালোয়ানের ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে মোদি বলেন, “ভারত ও চিনের সম্পর্ক নতুন নয়। উভয় দেশের প্রাচীন সংস্কৃতি রয়েছে। বিশ্বে দুই দেশের আলাদা ভূমিকা রয়েছে। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আমরা একে অপরের থেকে অনেক কিছু শিখেছি। প্রাচীনকালে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী ছিল। কোনও সংঘাতের ইতিহাস ছিল না। ভবিষ্যতেও এই সম্পর্ককে শক্তিশালী রাখা উচিত। আমরা প্রতিবেশী ফলে ঠোকাঠুকি লাগেই। যে কোনও পরিবারে এটা ঘটে। তবে আমরা চাই মতপার্থক্য যেন সংঘাতে না পরিণত হয়। সমস্যা হলে আলোচনার মাধ্যমে যেন তা মেটানোর উপর জোর দেই। এটা আমাদের দুই দেশের জন্যই মঙ্গলজনক।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *