সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সম্পত্তি নিয়ে বাগবিতণ্ডার জেরে স্ত্রীর হাতেই খুন কর্নাটকের প্রাক্তন পুলিশপ্রধান! প্রাথমিকভাবে এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ। দেহ উদ্ধারের পরেই প্রাক্তন পুলিশকর্তার বাড়ির অন্যান্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার ভিত্তিতেই পুলিশের অনুমান, সম্ভবত স্ত্রীর হাতেই খুন হয়েছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা ওম প্রকাশ। যদিও পুলিশের তরফে সরকারিভাবে এই ঘটনা নিয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে সূত্রের খবর, ওম প্রকাশের স্ত্রীকেই মূল সন্দেহভাজন হিসাবে ধরা হচ্ছে।
রবিবার বেঙ্গালুরুর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় কর্নাটকের প্রাক্তন পুলিশপ্রধান ওম প্রকাশের রক্তাক্ত দেহ। উদ্ধারকারী পুলিশকর্মীরা জানিয়েছেন, ঘরের মেঝে রক্তে ভেসে যাচ্ছিল। তখনই পুলিশের অনুমান ছিল, এই ঘটনার সঙ্গে পরিবারের লোকেরা জড়িত। পল্লবী এবং ওম প্রকাশের মেয়েকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। রহস্যের সমাধানে দেহ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। ওম প্রকাশের বুকে এবং পেটে একাধিক ছুরির কোপ বসানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তার পরেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি স্ত্রীর হাতে খুন হয়েছেন ওম প্রকাশ?
সূত্রের খবর, নিজের যাবতীয় সম্পত্তি এক আত্মীয়ের নামে লিখে দিয়েছিলেন ওম প্রকাশ। সেই নিয়েই রবিবার বিকেলে তুমুল বাকবিতণ্ডা হয় ওম প্রকাশ এবং তাঁর স্ত্রীর মধ্যে। ঝগড়া চলাকালীনই একাধিকবার ছুরির কোপ বসান ওম প্রকাশের স্ত্রী। তারপরে এক বান্ধবীকে ফোন করেন। সেই বান্ধবীই পুলিশে খবর দেন। গোটা ঘটনাটি বাড়ির একতলায় ঘটেছে বলে অনুমান। ওম প্রকাশের কন্যা সেই সময়ে বাড়ির অন্য তলায় ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
তবে সন্দেহের তির থাকলেও ওম প্রকাশের স্ত্রীকে এখনও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। প্রাক্তন পুলিশকর্তার ছেলের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের হবে বলে জানান বেঙ্গালুরু এসিপি বিকাশ কুমার। তাঁর কথায়, আগামী দিনে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হবে। আপাতত কাউকে গ্রেপ্তার না করলেও পুলিশ মনে করছে ঘরোয়া বিবাদের জেরেই ছুরির কোপ বসানো হয়েছে ওম প্রকাশের দেহে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৮১-র ব্যাচের আইপিএস ওম প্রকাশ। ২০১৫ সালে তিনি কর্নাটক পুলিশের প্রধান পরিচালক (ডিজি) পদে বসেন। তার আগে দমকল, হোম গার্ড এবং আপাতকালীন পরিষেবা দপ্তরের দায়িত্ব সামলান।