সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা নয়, প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে শুধুই উদযাপন! ‘হতাশ’ সাংসদরা

সন্ত্রাস নিয়ে আলোচনা নয়, প্রধানমন্ত্রীর নৈশভোজে শুধুই উদযাপন! ‘হতাশ’ সাংসদরা

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: বিদেশের মাটিতে কূটনৈতিক লড়াইয়ে পাকিস্তানকে কোণঠাসা করতে যে ভূমিকা নিয়েছেন দেশের সাংসদরা, তাতে সন্তুষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নৈশভোজে হতাশ একাধিক সাংসদ। সূত্রের দাবি, ওই বৈঠকে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনওরকম আলোচনাই হয়নি। শুধুই সেলিব্রেশন হয়েছে। তাতেই অখুশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।  মঙ্গলবার বিদেশ ফেরত সাংসদদের সঙ্গে নৈশভোজ করেন প্রধানমন্ত্রী। ৭ নম্বর লোক কল্যাণ মার্গে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে ওই নৈশভোজে দলমত নির্বিশেষ বিদেশে প্রতিনিধি হিসাবে যাওয়া সব সাংসদই উপস্থিত ছিলেন।

শশী থারুর, সলমন খুরশিদ, আনন্দ শর্মা, মণীশ তিওয়ারিদের মতো কংগ্রেস সাংসদদের পাশাপাশি তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ডিএমকের সাংসদ কানিমোঝি, শিব সেনার প্রিয়াঙ্কা চতুর্বেদীর মতো বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখেরাও ওই নৈশভোজে যোগ দেন। সূত্রের দাবি, গোটা বিশ্বে যেভাবে সাংসদরা ভারতের পক্ষ তুলে ধরেছেন তাতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রায় ঘণ্টাখানেক ওই নৈশভোজে ছিলেন মোদি।

কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বৈঠক নিয়ে হতাশ অভিষেক। বৈঠক শেষ করে মঙ্গলবার রাতেই কলকাতায় ফিরলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। পহেলগাঁও জঙ্গি হামলায় যুক্ত জঙ্গিরা এখন কোথায়! সন্ত্রাস রুখতে কী করা হবে, এমন কোনও ফলপ্রসূ আলোচনা নয়, মঙ্গলবার নিজের সাত নম্বর লোক কল্যাণ মার্গের সরকারি বাসভবনে বিদেশ সফর থেকে ফেরা সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শুধুমাত্র উদযাপনই করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

সূত্রের খবর, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শুধুমাত্র তাঁর পছন্দের কয়েকটি টেবিল গিয়েই কথা বলেছেন। সেখানেও হাসি-ঠাট্টাতেও মেতেছেন। তবে, অভিষেকের টেবিল পর্যন্ত পৌঁছানোর আগেই তিনি বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান। বৈঠকের শুরু-তে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিনিধিদলের সদস্যদের সঙ্গে করমর্দনের সময়ে মোদির সঙ্গে অভিষেকের দেখা হলেও সেভাবে কোনও কথাই হয়নি। এদিনের বৈঠকে পহেলগাঁও জঙ্গি হামলা সংক্রান্ত কোনও বিষয় নিয়ে সেভাবে আলোচনা না হওয়ায় অভিষেক অত্যন্ত হতাশ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। হাই-টির আয়োজনে, নানবিধ খাদ্য, নরম পানীয় থেকে ঝলমলে আলোর ঝলকানি থাকলেও আসল বিষয়, সন্ত্রাস বা পাকিস্তানের ভূমিকা নিয়ে কোনওরকম আলোচনা বা সিদ্ধান্ত না হওয়াতে তৃণমূল সাংসদ ঘনিষ্টমহল আক্ষেপ করেছেন বলে সূত্রের খবর।

যদিও বাংলার আরেক সাংসদ বিজেপির শমীক ভট্টাচার্যও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলার সুযোগ পেয়েছেন। সারা বিশ্বে মৌলবাদ যেভাবে বাড়ছে তা উদ্বেগজনক এবং এখন থেকে এই সমস্যার দিকে নজর দেওয়ার প্রয়োজন বলে প্রধানমন্ত্রীকে জানান তিনি। তাতে ঘাড় নেড়ে প্রধানমন্ত্রী সায় দিয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে। বৈঠকে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত প্রতিনিধিদলের সদস্যরাই সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছেন বলে মোদিকে জানান শমীক। সূত্রের খবর, তা শোনার পরে মোদি বলেছেন, “”দেশের প্রয়োজনে দলমত নির্বিশেষ সবাইকে এক হয়ে চলতে হবে। যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে আমাদের তার অভ্যাস আরও বাড়াতে হবে।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *