কিংশুক প্রামাণিক: চলছে সংসদ অধিবেশন। একাধিক বিষয় নিয়ে রোজই আলোচনা চলছে। বিভিন্ন ইস্যুতে শাসক-বিরোধী তরজাও অব্যাহত। সদ্যই অপারেশন সিঁদুর নিয়ে আলোচনা শেষ হয়েছে। বিরোধীদের নানা প্রশ্নের মুখে পালটা জবাবও দিয়েছে সরকারপক্ষ। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের উপর চাপ বাড়াতে নতুন করে রণকৌশল সাজাচ্ছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। কোন পথে কোন অস্ত্রে কেন্দ্রের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ চালানো যায়, তা স্থির করতে দলের সাংসদদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠকে বসছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, সোমবার বিকেল নাগাদ ভারচুয়ালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৈঠকে শামিল হতে চলেছেন সাংসদরা।
বিহার ভোটের আগে ভোটার তালিকায় এসআইআর বা বিশেষ নিবিড় সংশোধন নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় দেশ। ইতিমধ্যেই খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন ৬৫ লক্ষ মানুষ। বিরোধীরা এনিয়ে তীব্র আপত্তি জানিয়েছে। তাঁদের অভিযোগ, এভাবে প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে, যা সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। এই ইস্যুতে আগামী ৭ আগস্ট দিল্লির নির্বাচন কমিশন ঘেরাও কর্মসূচি রয়েছে বিরোধীদের। তাতে শামিল হচ্ছে তৃণমূলও। শোনা যাচ্ছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘেরাও অভিযানে নেতৃত্ব দিতে পারেন। সেই কারণে আগামী ৫ তারিখ তিনি দলের সমস্ত জেলা সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠকের ডাক দিয়েছেন।
তার আগে, ৪ আগস্ট অর্থাৎ সোমবার দলের সাংসদদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠকে করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ সমস্ত সাংসদকে তিনি ডেকেছেন। উল্লেখ্য, তৃণমূলের সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই সংসদে দলের রণকৌশল কী হবে, তা তিনিই স্থির করে দেন। এবার সেইসঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের অন্যতম শরিক হিসেবে তৃণমূল অন্যান্য বিরোধী দলগুলির সঙ্গে কীভাবে কক্ষ সমন্বয় করবে, কীভাবে যৌথ প্রতিবাদে শামিল হবে, কোন ইস্যুতে জোর দেবে, এসব নিয়ে সাংসদদের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিতেই মমতার এই বৈঠক বলে মনে করা হচ্ছে।