সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে আমেরিকা! সূত্রের খবর, জঙ্গিগোষ্ঠীর হাতে যেসমস্ত মার্কিন নাগরিক বন্দি রয়েছেন, তাঁদের ছাড়ানো নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুপক্ষে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই দোহায় এই বিষয়টি নিয়ে দুপক্ষের কথা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আরও জানা গিয়েছে, গোটা বিষয়টি নিয়ে সেভাবে কোনও তথ্য ছিল না আমেরিকার ‘বন্ধু’ ইজরায়েলের কাছে!
১৯৯৭ সালে হামাসকে জঙ্গি গোষ্ঠী হিসাবে চিহ্নিত করে আমেরিকা। তার আগে বা পরে কখনই হামাসের সঙ্গে এক টেবিলে আলোচনা করতে বসেনি মার্কিন প্রশাসন। এই প্রথমবার হামাসকে আক্রমণ না করে তাদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার পথে হাঁটল আমেরিকা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুপক্ষের দুই আধিকারিকের বক্তব্যের ভিত্তিতে একটি রিপোর্ট পেশ করেছে Axios। সেখানেই বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দূত অ্যাডাম বোয়েলার পণবন্দি সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেছেন হামাস নেতৃত্বের সঙ্গে।
কিন্তু আমেরিকা-হামাস বৈঠক নিয়ে সেভাবে কিছুই জানত না ইজরায়েল। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রশাসন যে হামাসের সঙ্গে আলোচনার পথে হাঁটতে পারে এমনটা ইজরায়েলকে জানানো হয়েছিল। কিন্তু দুপক্ষে আলোচনা হয়ে গিয়েছে, সেটি ইজরায়েলের জানা ছিল না। পরে অন্যান্য সূত্র মারফত খবর গিয়েছে ইজরায়েল প্রশাসনের কাছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, কেবল মার্কিন নয়, হামাসের ডেরায় থাকা সকল পণবন্দিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারেই আলোচনা করেছেন ট্রাম্পের দূত। যদিও এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি দুপক্ষে।
দীর্ঘ ১৫ মাস ধরে চলতে থাকা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের অবসান হয়েছিল সাম্প্রতিক ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তিতে। কিন্তু দ্বিতীয় দফার যুদ্ধবিরতি নিয়ে দর কষাকষি চলছে দুপক্ষে। ইজরায়েল জানিয়েছিল, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপের মেয়াদ বাড়ানোয় তাদের আপত্তি নেই। সেক্ষেত্রে প্রথমদিনই হামাসকে পণবন্দিদের অর্ধেককে মুক্তি দিতে হবে, এই ছিল শর্ত। এরপর স্থায়ী যুদ্ধবিরতির বিষয়ে দুই দেশ একমত হলেই বাকিদের মুক্তি দিতে হবে। কিন্তু এতে রাজি হয়নি হামাস। এহেন পরিস্থিতি হামাসের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠক সেরে ফেলল আমেরিকা। যদিও ট্রাম্প মুখে একাধিকবার হুঙ্কার দিয়েছেন হামাস নেতৃত্বকে। কিন্তু পণবন্দিদের উদ্ধার করতে আলোচনার পথেই হাঁটছে মার্কিন প্রশাসন।