স্টাফ রিপোর্টার : বছর তেরো আগে দশমিকের ভগ্নাংশে পিছিয়ে পড়ে লন্ডন অলিম্পিকে পদক হাতছাড়া করেছিলেন শুটার জয়দীপ কর্মকার। মঙ্গলবার জুনিয়র বিশ্বকাপে ০.৩ পয়েন্টে পিছিয়ে থেকে ৫০ মিটার রাইফেল প্রোন ইভেন্টে সোনা হাতছাড়া করলেন তাঁরই পুত্র আদ্রিয়ান কর্মকার। ফলে প্রথমবার বিশ্বকাপে নেমেই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হল এই তরুণ শুটারের! তবে ৬২৬.৭ পয়েন্ট স্কোর করে নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়লেন তিনি।
জার্মানির জুলে এদিনের ইভেন্টে শুরুটা বিশেষ ভালো হয়নি আদ্রিয়ানের। প্রথমদিকে ছিলেন দ্বাদশ স্থানে। সেখান থেকে একটা-একটা ধাপ এগিয়ে দু’নম্বরে উঠে আসেন তিনি। শেষ পর্যন্ত আর টপকে যেতে পারলেন না সুইডেনের জ্যাসপার জনসনকে। ৬২৬.৭ পয়েন্ট পেয়ে রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হল আদ্রিয়ানকে। আর সেজন্য নিজের শেষ শটকেই দুষছেন তিনি। জুল থেকে হোয়াটসঅ্যাপ কলে বলছিলেন, “শেষ শটটা আরও ভালো করা উচিত ছিল। আসলে আমি একটু চাপে পড়ে গিয়েছিলাম। কারণ তার আগের শটগুলোয় ১০.৫-১০.৬ শুট করেছিলাম। সেই ছন্দ ধরে রাখার চাপ ছিল। তাও ১০.০ শুট করি। আর একটু ভালো হলেই সোনা পেয়ে যেতাম।” তবে ছেলের পারফরম্যান্সে খুশি জয়দীপ। বলছিলেন, “এই বিশ্বকাপ জুনিয়রদের ঠিকই। তবে লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিকের প্রস্তুতি এখান থেকেই শুরু করে দেবে প্রথমসারীর সব দেশই। কারণ এই জুনিয়র শুটারদের অনেকেই লস অ্যাঞ্জেলেসে পদকের জন্য লড়বে। এখন থেকেই তাদের তৈরি করা হবে। ফলে এখানে ভালো পারফর্ম করার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।”
তিন বছর পরের আলিম্পিকের কথা মাথায় আছে আদ্রিয়ানেরও। হোয়াটসঅ্যাপ কলে শোনালেন, “আমার কাছে এই বিশ্বকাপ নিজের পারফরম্যান্স বোঝার সুযোগ। নিজেকে খুশি করতে পারছি কি না, সেটাই আসল।” জুলে যাওয়ার আগেই শুটিং কিট বদল করেছেন আদ্রিয়ান। সেটা ফিট করার জন্য বাড়তি পরিশ্রমও করতে হচ্ছে তাঁকে। বলছিলেন, “জ্যাকেটটা নতুন। সেটা ফিট হতে সময় লাগে। আমরা সাধারণত ম্যাচের আগের দিন বেশি প্র্যাকটিস করি না। তবে জ্যাকেটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে আমাকে বাড়তি সময় রেঞ্জে কাটাতে হয়েছে।” বৃহস্পতিবার ৫০ মিটার রাইফেলের থ্রি পজিশনে নামবেন আদ্রিয়ান, যেখানে তাঁর সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি বলেই মনে করছেল জয়দীপ। তাঁর কথায়, “প্রোন শুটিংয়ে ভারতীয়রা তেমন সাফল্য পায় না। আদ্রিয়ানও থ্রি পজিশনে অনেক বেশি সাবলীল। আশা করছি ওই ইভেন্টে আরও ভালো পারফর্ম করবে।”