অর্ণব দাস, বারাসত: লিভ-ইন পার্টনারকে খুনের ঘটনায় যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিল বারাসত আদালত। শুক্রবার বারাসতের এডিজে তৃতীয় আদালতের তরফে বিচারক এই সাজা ঘোষণা করেছেন। সাজাপ্রাপকের নাম দেবব্রত পাতি, বয়স ৩৯ বছর। মালদহের বাসিন্দা সে। এই ঘটনায় উচ্চতর আদালতে আপিল করতে পারে সাজাপ্রাপ্তর আইনজীবী।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২১ সালের জুলাই মাসের মাঝামাঝি সময়ে। নিহতের নাম রিচা সিং, বয়স ৩৫ বছর। রিচা ও দেবব্রত দু’জনেই একই বেসরকারি সংস্থার কর্মী ছিল। লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন তাঁরা। নিউটাউন থানার অন্তর্গত কেষ্টপুরের একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। যদিও সেখানে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে রিচা-দেবব্রত বসবাস করছিলেন বলে খবর। অভিযোগ, ঘটনার রাতে মারধর-সহ শ্বাসরোধ করে লিভ-ইন পার্টনারকে খুন করে পরেরদিন সকালে বাড়ির মালিককে দেবব্রত জানায়, বাথরুমে পড়ে আঘাত লেগেছে রিচার। এরপর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার বাইপাস সংলগ্ন একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে জানা যায়, মৃত্যু হয়েছে যুবতীর।
এরপর ময়নাতদন্তে রিপোর্টে খুনের ঘটনা সামনে আসে। নিহত রিচার ভাই এনিয়ে নিউটাউন থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। গ্রেপ্তার হয় দেবব্রত। বিগত চার বছর মামলাটি চলার পর গত মঙ্গলবার অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে বারাসতের এডিজে তৃতীয় আদালত। বৃহস্পতিবার দেবব্রতর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা হয়। সরকারি আইনজীবী শ্যামলকান্তি দত্ত বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা যায়, নিহত যুবতীর শরীরে ২৫টি আঘাতের চিহ্ন ছিল। একইসঙ্গে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল যুবতীকে। ৯ জনের সাক্ষ্য ও প্রমাণের ভিত্তিতে দোষীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করা হল।”