শত্রুর হাতে বন্দি ‘স্বজনদের’ও হত্যা ইহুদি সেনার? নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠের দাবিতে শোরগোল

শত্রুর হাতে বন্দি ‘স্বজনদের’ও হত্যা ইহুদি সেনার? নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠের দাবিতে শোরগোল

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৭ অক্টোবর ইজরায়েলের মাটিতে হামাসের হামলার সময় নিজের দেশেরই নাগরিকদের হত্যা করেছিল ইহুদি সেনা! এমনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ইজরায়েলের প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াব গ্যালান্ট। তাঁর দাবি, ওইদিন তিনি নিজেই কিছু বিশেষ এলাকায় ‘হান্নিবাল ডিরেক্টিভ’ (Hannibal Directive) নীতি লাগুর নির্দেশ দিয়েছিলেন। শুধু তাই নয়, ইজরায়েলের সংবাদমাধ্যম ‘চ্যানেল ১২’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধেও তোপ দাগেন একদা তাঁর ঘনিষ্ঠ গ্যালান্ট।

হান্নিবাল ডিরেক্টিভ হল এমন এক সামরিক নীতি যার মাধ্যমে শত্রুপক্ষের হামলায় দেশের সেনা বা নাগরিকদের আত্মসমর্পণ আটনোর বিশেষ পন্থা। যার মাধ্যমে প্রয়োজনে নিজের দেশের মানুষকে হত্যা করতেও দ্বিধা করে না সেনা। যুদ্ধক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতিতে লাগু হয় এই নীতি। শেষবার এই সামরিক নীতি লাগু হয়েছিল ১৯৮২-২০০০ সালে লেবাননের বিরুদ্ধে যুদ্ধের সময়। চরম বিতর্কিত এই সামরিক নীতির উদ্দেশ্য হল শত্রুকে কৌশলগত সুবিধা নেওয়া থেকে বিরত রাখা। তার জন্য নিজের দেশের জনগণের প্রাণ গেলেও ক্ষতি নেই।

ইজরায়েলের দাবি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নৃশংস হামলায় ১১০০ সেনা ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়। গ্যালান্টের দাবি এই ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, এত মানুষের মৃত্যু শুধুমাত্র হামাসের হামলার জেরে হয়নি। ইজরায়েলের সেনাবাহিনীও নিজের দেশের সেনা ও সাধারণ নাগরিককে হত্যা করেছিল। কারণ সেদিনের হামলার খবর পেয়েই পালটা যুদ্ধে নামে ইহুদি সেনা। নিজের মাটিতেই হেলিকপ্টার, ড্রোন এমনকী ট্যাঙ্ক নামান বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে এই হামলা চললেও সেনার গুলি নিজেদের নাগরিকদেরও রেহাত করেনি। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে জানা যায়, সেদিন নোভা সঙ্গীত উৎসবেও হেলিকপ্টার থেকে নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল ইহুদি সেনা।

প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়াব গ্যালান্ট প্রধানমন্ত্রীর দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে জানান, সেদিনের হামলার পর ১১ অক্টোবর হেজবোল্লার বিরুদ্ধে বড়সড় আক্রমণের প্রস্তুতি নিয়েছিলেন গ্যালান্ট। তবে সরকারের উদাসিনতায় তা হয়ে ওঠেনি। সেদিন হামলা চললে অনেক আগেই নাসরুল্লাকে শেষ করা যেত এবং হেজবোল্লার ৯০ শতাংশ অস্ত্রভাণ্ডার ধ্বংস করা যেত। এমনকী ইজরায়েলের সরকার হামাসের হাতে বন্দিদের মুক্তির জন্য শুরুতে কোনও সদিচ্ছা দেখায়নি বলে অভিযোগ গ্যালান্টের। যুদ্ধের প্রায় ২ বছর পর হামাসের সঙ্গে বন্দি পত্যার্পণে রাজি হয়েছে ইজরায়েল। নেতানিয়াহু উদ্যোগ নিলে অনেক আগেই দেশের নাগরিকদের তিনি ফেরাতে পারতেন বলে দাবি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ






Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *