লাল সন্ত্রাসী বাসবরাজুর দেহ ছাড়তে নারাজ প্রশাসন! আদালতের হস্তক্ষেপে ‘সুরাহা’ পরিবারের

লাল সন্ত্রাসী বাসবরাজুর দেহ ছাড়তে নারাজ প্রশাসন! আদালতের হস্তক্ষেপে ‘সুরাহা’ পরিবারের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে মৃত্যু হয়েছে মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর। তবে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ ফিরে পেতে রীতিমতো কাঠখড় পোড়াতে হল অন্ধ্রপ্রদেশে বাসবরাজুর পরিবারকে। আদালতে দায়ের হল মামলা। অবশেষে বাসবরাজুর দেহ ফেরত পেতে পরিবারকে ছত্তিশগড় পুলিশের দ্বারস্থ হতে বলল অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্ট।

২১শে মে ছত্তিশগড়ের বিজাপুর-নারায়ণপুর এলাকার অবুঝমাঢ়ে অভিযান চালিয়ে ২৭ জন মাওবাদীকে নিকেশ করে নিরাপত্তাবাহিনী। এই অভিযানে মৃত্যু হয় মাওবাদীদের সাধারণ সম্পাদক বাসবরাজু ও শীর্ষ মাও কমান্ডার সজ্জ ভেঙ্কট নাগেশ্বরের। তবে অভিযোগ, তাদের দেহ ফেরত পেতে ছত্তিশগড় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতের পরিবার। তবে অভিযোগ, পুলিশ তাঁদের রীতিমতো তাড়িয়ে দেয়। এই ঘটনায় দুটি আলাদা মামলা দায়ের হয় অন্ধ্রপ্রদেশ হাই কোর্টে। শুধু তাই নয়, আরও অভিযোগ ওঠে মৃতের পরিবার যাতে ছত্তিশগড়ে যেতে না পারেন তার জন্য অন্ধ্রপ্রদেশের পুলিশ তাঁদের গৃহবন্দি করে রেখেছে। এই মামলায় মৃতের পরিবারের পক্ষে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। জানানো হয়েছে, ময়নাতদন্ত-সহ অন্যান্য প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর দেহ ফেরাতে পরিবার যেন ছত্তিশগড় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

যদিও পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়ার প্রক্রিয়া আটকাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি প্রশাসন। আদালতে ছত্তিশগড়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানান, অন্ধ্রপ্রদেশের নয়, এই বিষয়টি ছত্তিশগড় হাইকোর্টের এখতিয়ারে পড়ে। এবং আবেদনকারীদের দাবিকে ভিত্তিহীন বলে অভিযোগ করেন। এবং জানান মৃতদেহ দেওয়া হবে না বলে যে দাবি করা হচ্ছে তার সপক্ষে কোনও প্রমাণ দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি কেন্দ্রের অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, দেহ না দেওয়ার বিষয়ে সিআরপিএফের কোনও ভূমিকা নেই। তবে তাঁর দাবি, দেহ হস্তান্তর করলে শেষকৃত্যের নামে মিছিল বের করার সম্ভাবনা রয়েছে। তাতে ছত্তিশগড়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। তবে আদালতের তোপের মুখে পড়ে শেষ পর্যন্ত ছত্তিশগড়ের অ্যাডভোকেট জেনারেল জানায়, ২৪ মে দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে তারপর দেহ ফেরানো যেতে পারে।

অ্যাডভোকেট জেনারেলের সেই মন্তব্যকে স্মরণ করিয়ে আদালত জানিয়ে দেয়, ময়নাতদন্তের পর ছত্তিশগড় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে মৃতের পরিবার যেন দেহ নিয়ে নেন। পাশাপাশি আদালত আরও জানায়, শান্তিপূর্ণভাবে শেষকৃত্য সম্পন্ন করার জন্য। এক্ষেত্রে শর্ত আরোপ করা যেতে পারে বলে জানিয়েছে আদালত।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *