লায়ার – Uttarbanga Sambad

লায়ার – Uttarbanga Sambad

শিক্ষা
Spread the love


  • শৌর্য চৌধুরী

‘তারপর কী হল? ওঁকে আর সত্যিই খুঁজে পাওয়া গেল না?’

প্রশ্নটা শুনে সুতনু জানলার বাইরে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলেন। তাঁর বিশাল বাড়ির কেয়ারি করা লনে মালি জল দিচ্ছিল। একটি স্বয়ংক্রিয় যন্ত্র; মানুষ নয়। এই বাংলোর একমাত্র রক্তমাংসের বাসিন্দা সুতনু ব্রহ্ম নিজে। বাকি সব কাজ যন্ত্রেরা করে থাকে। তাঁকে সঙ্গও দেয় বটে।

শরৎকাল। ছেঁড়া-ছেঁড়া সাদা মেঘেরা কোন গোপন সম্মেলনে মেতেছে তীব্র নীল আকাশের মাঝে। কিছুক্ষণ সেই আকাশটা পর্যবেক্ষণ করার পর বর্ষীয়ান সংগীত পরিচালক বিনম্রর দিকে ফিরে আবার বলতে শুরু করলেন।

‘না, সম্বিত বসুকে আর কেউ দেখেনি। উড়ো খবর এসেছিল তাঁকে নাকি হিমাচল বা তিব্বত, কোথাও একটা দেখে গেছে গিটার হাতে উদ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াতে। তবে সবই শোনা কথা। ওঁর ছেলে-বৌ বহুদিন খুঁজেছিল। ফেসবুকে ‘ফাইন্ড মাইস্ট্রো সম্বিত বসু’ বলে একটা গ্রুপও খুব জনপ্রিয় হয়েছিল সে সময়। থানা-পুলিশ তো ছোটখাটো ব্যাপার, পার্লামেন্ট পর্যন্তও গিয়েছিল ইস্যুটা, আফটার অল সম্বিত দু’দুটো ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি।’

এই অবধি বলে একটু দম নিলেন সুতনু। একটা সিগারেট ধরালেন। ধরিয়ে দিল আরেকটি মিনি রোবট। অনেকক্ষণ ধরেই সেটি চারপাশে ঘুরঘুর করছে, সুতনুর ফাইফরমাশ খাটছে। রোবটটিকে কোনও হুকুম করতে হয় না, সুতনুর ব্রেনের নিউর‍্যাল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সফটওয়্যার সিঙ্ক করা আছে। এ কথা তিনিই একটু আগে বিনম্রকে বলেছেন।

সুতনু বলতে থাকলেন, ‘যে সময়টার কথা হচ্ছে তখন আমরা দুজনই টপে। বিশাল রাইভালরি। সেই সময়ই খবরটা এল আর সব বদলে দিল।’

‘মানে ওই প্রতিযোগিতাটার খবর?’, বিনম্র পালটা প্রশ্ন করল।

বিনম্র মণ্ডল একটি নিউজ পোর্টালে চাকরি করে। বিনোদন কভার করে। সে এখনও বিশ্বাস করতে পারছিল না যে সুতনু ব্রহ্মর মতো একজন কিংবদন্তি সুরকার, যিনি গত দশ বছরে একটিও সাক্ষাৎকার দেননি, বরং বীরভূমের এই দেশের বাড়িতে চলে এসেছেন সব ছেড়েছুড়ে, প্রায় অজ্ঞাতবাসেই রয়েছেন, তিনি তাঁর মেসেজের উত্তর দিয়েছেন এবং সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হয়েছেন।

‘হ্যাঁ, ওই প্রতিযোগিতাটা। মাইক্রোটোনাল মিউজিক ফাইট। তুমি মাইক্রোটোন কী জানো?’

‘হ্যাঁ স্যর, দুটি সুরের মাঝের ফ্রিকোয়েন্সিগুলোকে মাইক্রোটোন বলে। মানে দুটি প্রচলিত সেমিটোনের মাঝের ইন্টারভ্যালগুলো।’

সুতনু উত্তরটা শুনে প্রীত হলেন মনে হল। সিগারেটটা নিভিয়ে বললেন, ‘যাক, তোমার সঙ্গে মেসেজে কথা বলার সময়ই মনে হয়েছিল তুমি মিউজিক নিয়ে কিছুটা চর্চা করেছ। মানে ধরো, সা ও কোমল রে। এই দুটো সেমিটোন আমাদের চেনা বা প্রচলিত সুর। এর মাঝে থিওরেটিক্যালি অগুন্তি সুর লুকিয়ে আছে, এগুলোই মাইক্রোটোন্স। এই নামটাই প্রথমে আমাকে অ্যাট্রাক্ট করে। কিন্তু অংশগ্রহণ করার কোনও প্রশ্ন ছিল না। কেনই বা করব হঠাৎ?’

বিনম্র উত্তর দিল, ‘তবে প্রতিযোগিতাটা ভীষণ ইউনিক ছিল। যে জিতবে সে এম-সিরিজের পরবর্তী দশ বছরে সমস্ত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কাজের সুর করার প্রথম অধিকার পাবে।’

‘হ্যাঁ। এবং এম সিরিজ তখন তো বটেই এখনও দেশের সবচেয়ে বড় মিউজিক কোম্পানি। আর এখন তো গ্লোবাল প্লেয়ার…প্রাইজ মানিও একটা বিশাল অঙ্ক ছিল, যদিও ওতে আমার তেমন আগ্রহ ছিল না।’

বিনম্রর একটি অদ্ভুত স্বভাব আছে। মনে মনে নিজের প্রতিবেদনটা সাক্ষাৎকার চলতে-চলতেই সাজিয়ে নেওয়ার। আজকেও সেটাই করছিল :

ভুল বলেননি সুতনু তাঁর ঠাকুরদা ব্রিটিশদের সময় বাংলার প্রথম কয়েকজন শিল্পপতির মধ্যে ছিলেন সুতনুর বাবা, রজতেন্দ্র, ব্রহ্ম গ্রুপকে আরও বড় উচ্চতায় নিয়ে যান সুতনু জন্মেছিলেন সোনার চামচ মুখে নিয়ে রজতেন্দ্র যখন প্রথম শোনেন ছেলের ব্যবসায় আগ্রহ নেই, সে কেবল মিউজিক করতে চায়, তখন ভীষণ হতাশ হয়ে পড়েন কিন্তু যখন দেখেন সুতনু তাঁর ইচ্ছেতে অনড়, তখন তাঁকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বারক্লি কলেজ অফ মিউজিকে পাঠান সেখানে কম্পোজিশনের কোর্সে প্রথম হয়ে দেশে ফিরে পেশাদার কাজ শুরু করেন সুতনু পাশ্চাত্য সংগীতে আশ্চর্য ব্যুৎপত্তি তাঁর ভারতীয় মার্গ সংগীতের তালিম নিয়েছেন ছেলেবেলা থেকে দেশের সেরা সংগীত গুরুদের থেকে পিয়ানো শিক্ষাও পেয়েছেন তাবড় শিক্ষকদের কাছে এবং প্রথম থেকেই সংগীতের প্রযুক্তিগত দিক নিয়ে তিনি সচেতন ছিলেন দেশে যে সকল সংগীত পরিচালক প্রথম অটোটিউন মাল্টিট্র্যাক রেকর্ডিং ব্যবহার করেন তাঁর মধ্যে সুতনু ছিলেন অন্যতম

এদিকে সুতনুর স্মৃতিচারণ চলছিল, ‘কিন্তু যখন শুনলাম সম্বিত মাঠে নামছে, তখন আমারও জেদ চেপে গেল। আসলে ওঁকে আমি সব সময়ই হিংসা করতাম, আজ স্বীকার করতে দ্বিধা নেই।’

মনে মনে প্রতিবেদন লিখছে বিনম্র : সুতনু সম্বিত সম্পূর্ণ দুটো আলাদা মেরুর মানুষ ছিলেন অনাথ সম্বিত নানা দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়ে ওঠেন অনাদর অবহেলাতেই কিন্তু ছেলেবেলা থেকেই গিটার বাজাতেন স্বপ্নের মতো সুকণ্ঠের অধিকারী ছিলেন, পরিচিত তিন কর্ডের সাইকেল বাজিয়েই একদম নতুন, ছকভাঙা সুর বানিয়ে কথা লিখে গান বেঁধে কলেজ ফেস্টে গেয়ে মাতিয়ে দিতেন বা মেট্রো স্টেশনে আপন মনে বাস্কিং করতেন সামনে একটি টুপি রেখে যাত্রীরা যে যা পারত দিয়ে যেত অনেকেই ট্রেন মিস করে ভিড় জমিয়ে শুনত, এতটাই চৌম্বক শক্তি ছিল সম্বিতের গানে এইভাবেই একদিন অচিন্ত্য সেন, সেই সময়ের বিখ্যাত সিনেমা পরিচালক, তাঁকে খুঁজে পান তারপর আর সম্বিতকে ফিরে তাকাতে হয়নি

দুজনের ব্যাকগ্রাউন্ড, সুর তৈরির পদ্ধতি বা ইনফ্লুয়েন্স, সবটাই সম্পূর্ণ আলাদা হলেও ক্রমে বাংলা ইন্ডাস্ট্রি পেরিয়ে বলিউডে সম্বিত সুতনুর রাজত্ব শুরু হল একসঙ্গে দুজন প্রায় বছর শীর্ষে থেকে লড়াই করছেন, মারাত্মক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সম্বিতসহজাত, মন ছোঁয়া সুর বানানোর শেষ কথা সুতনুবিদ্বান, জাদুকরি জটিল মেলডির রাজা কে সেরা, এই নিয়ে তর্ক অবিরাম ভক্ত এবং সংগীত বোদ্ধাদের মধ্যে তবে দুজনেই দুজনের কাজকে সম্মান করতেন, একথা প্রকাশ্যে বারবার বলেছেন নেপথ্যে অবশ্যই রেষারেষি ছিল, যে কথা বলাই বাহুল্য সাতেপাঁচে না থাকা সম্বিতও সুতনুর বিরুদ্ধে এই পঙ্কিল সরণিতে পা দিয়েছিলেন, কথাও তখনকার অনেকে বলেন সুতনুও স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে দাবার চাল চেলেছিলেন লড়াই সমানেসমানে চলছিল কিন্তু সবটাই পালটে যায় এমসিরিজের প্রতিযোগিতার জন্য

একবার পুজোর ঠিক আগে এমসিরিজ এই সর্বভারতীয় প্রতিযোগিতা নিয়ে আসে এবং সবাইকে অবাক করে দিয়ে উদাসীন, আপনভোলা সম্বিত এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষী, উন্নাসিক সুতনু দুজনেই নাম লেখালেন

বিনম্রর নীরব স্বগতোক্তির মাঝেই সুতনু নিজের গল্পে ফিরেছেন, ‘ঠিক এই শরৎকালেই এম-সিরিজের কম্পিটিশনটি হয়। নিয়মাবলি খুব সহজ ছিল। একটি গান জমা দিতে হবে, যে কোনও জ্যঁর বা ভাষায়। সেরা তিনটি গান নির্বাচিত হবে। সেগুলো সাধারণ মানুষকে শোনানো হবে, মুম্বইয়ের একটি অনুষ্ঠানে। আমি আর সম্বিত দুজনেই কিন্তু বাংলায় গান বানিয়েছিলাম। অন্য বহু ভাষার, বহু আঙ্গিকের অন্তত হাজারখানেক গান জমা পড়ে।’

তিনি বলে চললেন, ‘আমি অনেক ভেবে ভৈরবী রাগের উপর একটি গান বানাই। তুমি তো জানোই, ভৈরবীতে সব কোমল স্বর, আমি আমার কম্পোজিশনে অতি-কোমল, অনু-কোমল বেশ কিছু টাচ ব্যবহার করি। অর্থাৎ ব্লুজের একটা আবহ, মাইক্রোটোনস। সাত মাত্রার তালে বেঁধেছিলাম গানটা।’ এই বলে সুতনু আনমনে সুরটা গুনগুন করে উঠলেন।

বিনম্র ইষৎ উত্তেজিত হয়ে বলে উঠল, ‘সহজে সহজ হওয়া যায় না— দারুণ লিরিক্স। প্রান্তিক কথা লিখেছিলেন, গেয়েছিলেন বিজয়িনী, উফফ কি গেয়েছিলেন। সে গান তো আজও একইরকম জনপ্রিয়।’

এক মুখ দাড়ির ফাঁক দিয়ে আবার হাসলেন সুতনু— ‘হ্যাঁ প্রতিযোগিতাটি সুরের হলেও প্রান্তিক দুর্দান্ত লিখেছিল। কিন্তু সেদিন আমাকে সত্যি হারিয়ে দিয়েছিল সম্বিত। ওঁর গান শুনে আমি থ হয়ে গিয়েছিলাম ওইদিন সন্ধেতে।’

বিনম্র আবার বলে উঠল, ‘সম্বিতবাবু নিজেই কথা লিখেছিলেন, নিজেই গেয়েছিলেন, সমস্ত ইন্সট্রুমেন্ট নিজে বাজিয়েছিলেন। প্রোগ্রামিং, মিক্স মাস্টার সব নিজে। ওইদিনের আগে পর্যন্ত কেউ এই ধরনের গানটি শোনেনি। মনে রেখো আমায়– গানটা আমি এখানে আসার আগেও লুপে শুনেছি। প্রথম পার্টটি সম্পূর্ণ বাউল অঙ্গের। দ্বিতীয় অন্তরা থেকে যেন সব পালটে যায় সুরের চলনে, কথার ধরনে। অন্য জগতে চলে যাই আমরা।’

‘আমি পরে স্টাডি করেছি ওঁর গানটা। মেজর কি থেকে মাইনরে যাওয়া তেমন বড় ব্যাপার না, কিন্তু সম্বিত যেভাবে গেয়েছিল…আমি শুনে স্পিচলেস হয়ে গিয়েছিলাম। আর শেষের ক্রেসেন্ডো, তারপর ড্রপ, ভীষণ একাকিত্ব মিশে ছিল ওই শেষটায়।’

‘কিন্তু তারপর কী হল?’

‘আমি ওই অনুষ্ঠানে ভীষণ কনফিডেন্ট হয়েই গিয়েছিলাম। বিচারক ছিলেন ভারতীয় সংগীতের কিংবদন্তি সুরকার ও গায়ক-গায়িকারা, সবাইকেই চিনতাম, কে কী ভালোবাসেন তা জানতাম। অনেক হিসেব করেই কাজটা করেছিলাম। কিন্তু তৃতীয় স্থানে আমি রয়েছি এটা ঘোষণা হল। তারপর আমার গানটা বাজানো হল। বিশাল ধাক্কা খেয়েছিলাম বটে, তবে তার মধ্যেও ভাবতে শুরু করলাম দ্বিতীয় কে হল। কারণ প্রথম তো সম্বিত হবেই। যদিও আমাদের দেখে দেশের সেরা সংগীত পরিচালক, কণ্ঠশিল্পী, বাদ্যকারদের অনেকেই ময়দানে নেমেছিল। তাই একটা আউটসাইড চান্স কারও কারও ছিল। তাও…’

সুতনু বলে চললেন, ‘কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে সম্বিত দ্বিতীয় হল। ওঁর গানটাও প্লে করা হল। আমি পিছনে ঘুরে সম্বিতের টেবিলের দিকে তাকিয়েছিলাম। বহু বছর কথা বন্ধ ছিল। কিন্তু সম্বিতের মুখে এমন একটা হাসি দেখেছিলাম, যেটা একজন মানুষ সব হেরে গিয়ে ভয়ংকর উদাসীন হয়ে গেলে, তবেই হাসে। মনে হচ্ছিল, একবার কথা বলি ছেলেটার সঙ্গে। আফটার অল আমি ওঁকে বড় হতে দেখেছিলাম। পরে যদিও আমাদের সম্পর্কটা…’

কথা বলতে বলতে স্মৃতিচারণের জটিলতায় বারবার থেমে যাচ্ছিলেন সতনু। কয়েক সেকেন্ড পর আবার নিজেই বলতে শুরু করলেন, ‘এরপর প্রথম স্থান পাওয়া গান ও গানের রচয়িতার নাম উন্মোচনের পালা চলে এল। আলো আবার ডিম হয়ে গেল, সাসপেন্সের সুর বাজতে শুরু করল। এখনও মনে আছে, এম-সিরিজের জন্য একটা সিনেমার ব্যাকগ্রাউন্ডে ওই সুর আমিই বানিয়েছিলাম। ওটাই বাজল সেদিন। তারপর ধীরে-ধীরে আমার সুরটা ফেড আউট হয়ে গেল আর একটা অপার্থিব সুর বেজে উঠল। সবার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠল। বিশ্বাস করো, সেদিন পর্যন্ত এরকম সুর আমি শুনিনি। কথা যথাযথ। গায়কের গলাও নিখুঁত। এ গান সত্যি জেতার যোগ্য। আমাদের হারানোর যোগ্য! কে এটি বানিয়েছে? কে? সবার মনে তখন একটাই প্রশ্ন। বিশেষ করে আমার।’

আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে সুতনু ঝড়ের মতো বলতে থাকলেন, ‘সঞ্চালিকা স্টেজে ফিরে এলেন। বললেন, এতক্ষণ আপনারা শুনলেন এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হওয়া গানটি– আ নিউ বিগিনিং। এটি বানিয়েছে লায়ার। কে লায়ার? লায়ার কোনও মানুষ নয়, অত্যাধুনিক একটি এআই, গান বানাতেই তার সৃষ্টি। গেয়েছেও সে। এখন থেকে এম-সিরিজের সমস্ত প্রোজেক্ট করার প্রথম অধিকার পাবে লায়ার ও তার আবিষ্কর্তা ক্লোজ দ্য গ্যাপ টেক সলিউশনস…’

সাক্ষাৎকারের শেষলগ্নে বিনম্র প্রতিবেদনটা তৈরি করছিল :

লায়ার একের পর এক ব্লকবাস্টার হিট গান উপহার দিয়ে এমসিরিজ সংগীত জগতের বেতাজ বাদশা হয়ে উঠেছে সম্বিত বসুকে সেই অনুষ্ঠানের রাত্রের পর আর খুঁজে পাওয়া যায়নি আর সুতনু? গানবাজনা ছেড়ে দিলেও যান্ত্রিক আধুনিকতাকে আঁকড়ে ভালোই আছেন বোধহয়

মাইক্রোটোনাল মিউজিক ফাইট সেই একবারই হয়েছিল তারপর সবটা বদলে গেল 



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *