সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অযোধ্যার রামমন্দির দেখে গর্ব না হলে সে ভারতীয়ই নয়! বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দুই মহান্তের প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে একটি অনুষ্ঠানে গিয়ে যোগী বলেন, কেউ যদি অযোধ্যার রামমন্দির দেখে গর্ববোধ না করে তাহলে তাদের ভারতীয় পরিচয় নিয়েই সংশয় রয়েছে। প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় নাগরিকত্বের সঙ্গে মন্দিরকে কি এভাবে জুড়ে দেওয়া যায়?
বুধবারের অনুষ্ঠানে যোগী বলেন, “ভারতে যত মানুষ রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে এমন কেউই নেই যাঁর অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দির দেখে গর্ব হবে না। আর যদি কেউ গর্ববোধ না করেন তাহলে তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়েই সংশয় থেকে যায়।” রামমন্দিরকে মহান্তদের সংগ্রামের প্রতীক হিসাবে অভিহিত করে যোগী আরও বলেন, “প্রকৃত যোগী যখন কোনও প্রতিজ্ঞা করেন, তখন তার ফল প্রকাশ্যে আসবেই।” যোগীর কথায়, মহান্ত দিগ্বিজয়নাথ পণ করেছিলেন, দাসত্বের চিহ্নগুলো সরিয়ে অযোধ্যায় মন্দির তৈরি করবেন। শেষ পর্যন্ত মন্দির তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, রামমন্দিরকে কেন্দ্র করে অযোধ্যাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরতে চাইছে যোগী সরকার। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্দির প্রাঙ্গণের পাশাপাশি অযোধ্যার সামগ্রিক পরিকাঠামোগত উন্নয়নও দ্রুততার সঙ্গে চলছে। উন্নত পরিকাঠামো ও পরিবহন ব্যবস্থার গড়ে ওঠায় আগামিদিনে অযোধ্যা পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠতে চলেছে। যোগী সরকারের লক্ষ্য হল নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই মন্দিরের কাজ সম্পন্ন করা। যাতে এটি ভারতের গৌরবময় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক উজ্জ্বল প্রতীক হয়ে ওঠে।
জানা গিয়েছে, ২০২৫ সালের নভেম্বর বা ডিসেম্বরের মধ্যে সমগ্র মন্দির প্রাঙ্গণ ভক্তদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। সময়মতো কাজ সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন যোগী। রাম দরবার ও অন্যান্য দেব-দেবীর মন্দিরে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পর এবার শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট মন্দিরের মূলপথ নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করতে চাইছে। ছাউনি দেওয়া মন্দিরের মূলপথটির দৈর্ঘ্য ৭৩২ মিটার, প্রস্থ ১৪ ফুট। মন্দিরে ব্যবহৃত গোলাপি বেলেপাথর দিয়েই এটি তৈরি হচ্ছে। এই পথের বিভিন্ন জায়গায় ভগবান শ্রীরামের বিভিন্ন লীলার শিল্পকর্ম খোদাই করা হবে।