রামনবমীর হোর্ডিংয়ে মোদির পাশে শুধুই শুভেন্দু, বাদ সুকান্ত, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে নয়া বিতর্ক

রামনবমীর হোর্ডিংয়ে মোদির পাশে শুধুই শুভেন্দু, বাদ সুকান্ত, বঙ্গ বিজেপির অন্দরে নয়া বিতর্ক

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: রামনবমীর হোর্ডিংয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবির পাশে হাজির শুভেন্দু অধিকারী, বাদ সুকান্ত মজুমদার! দলের রাজ্য সভাপতিকে ব্রাত্য রেখে শুধু রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ছবি দিয়ে পোস্টারকে কেন্দ্র করে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী বিভাজনও ফের প্রকাশ্যে। নয়া বিতর্ক বঙ্গ বিজেপির অন্দরে।

রামনবমী নিয়ে এখন সাজ-সাজ রব বিজেপি-সহ গোটা গেরুয়া শিবিরে। আর সেই আবহে কলকাতার বিভিন্ন এলাকায় পড়েছে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া পোস্টার। কিন্তু তাতে রাজ‌্য বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের ছবি না থাকা বিতর্ক তৈরি করেছে। পূর্ব মেদিনীপুরের একটি মন্দিরের পুরোহিতের নাম দিয়ে প্রচারিত এই পোস্টার নিয়ে প্রবল ক্ষুব্ধ সুকান্তের ঘনিষ্ঠ মহল।

রামনবমীর হোর্ডিংয়ে ‘নো সুকান্ত, অনলি শুভেন্দু’ বিতর্কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। এ প্রসঙ্গে রাজ‌্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের মন্তব‌্য, “রামের পুজো যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। যারা বাংলা বিরোধী রাজনীতি করে, তারা ধর্মীয় উন্মাদনা ছড়াতে গিয়ে গোষ্ঠীবাজি করছে। রামের ছবিতে দিল্লির নেতার না হয় মুখের ছবি বসবে, সে না হয় ঠিক আছে! কিন্তু বিতর্কটা পোস্টারে হনুমান সাজার ছবি নিয়ে। কে হনুমান সাজবেন, তা নিয়েও চলছে গোষ্ঠীবাজী।’’

যদিও দলের নতুন বিড়ম্বনার মধ্যে এদিন এ প্রসঙ্গে সংবাদ মাধ‌্যমের প্রশ্নের মুখে চটুল কথার আশ্রয় নিয়ে জবাব এড়িয়ে যান রাজ‌্য বিজেপির মুখপাত্র সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “এতে অসুবিধার কী? নরেন্দ্র মোদিও ফর্সা। শুভেন্দু অধিকারী ফর্সা! মাঝখানে রাম, গায়ের রং কালো। কনট্রাস্ট! ব‌‌্যাপক মানানসই ব‌্যাপার!” তাঁর সংযোজন, ‘‘সুকান্ত মজুমদার যদি বলেন, ‘কৃষ্ণ কালো, আমিও কালো। আমার মুখে ননী ঢালো!’ ওভাবে হয় নাকি?’’

এর আগেই শুভেন্দু-সহ তৎকাল নেতাদের বিরুদ্ধে আদি বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের কোণঠাসা করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। সেই অভিযোগে নতুন মাত্রা যোগ করল রাজ‌্য সভাপতিকে বাদ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শুভেন্দুর ছবি দেওয়া হোর্ডিং। রাজ‌্য বিজেপিতে শুভেন্দু বিরোধী গোষ্ঠীর অভিযোগ, রাজ‌্য সভাপতিকে এভাবে অবজ্ঞা করাটা বিজেপির সংস্কৃতি বিরোধী। এটা শুভেন্দু অধিকারীদের গোটা বঙ্গ বিজেপিকে ‘হাইজ‌্যাক’ করার চেষ্টার প্রমাণ বলে অভিযোগ আদি বিজেপি কর্মীদের।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *