রাবড়ি-রাজভোগে সর্বহারাদের সম্মেলন! কোটি টাকার আলোচনায় সিপিএমের শূন্যদশা কাটবে কি?

রাবড়ি-রাজভোগে সর্বহারাদের সম্মেলন! কোটি টাকার আলোচনায় সিপিএমের শূন্যদশা কাটবে কি?

জীবনযাপন/LIFE STYLE
Spread the love


রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: শূন্যের গেরো কাটাতে শনিবার থেকে ডানকুনিতে বসছে সাম্য প্রতিষ্ঠার ডাক দেওয়া সিপিএমের তিনদিনের রাজ‌্য সম্মেলন। আর তাতে সর্বহারাদের দলের খরচ হচ্ছে কোটি টাকা! পনেরোটির বেশি হোটেলে প্রতিনিধিদের রাখার ব‌্যবস্থা থেকে শুরু করে লাঞ্চ-ডিনারেও আয়োজনেও বৈচিত্র্যের সম্ভার। মেনুতে থাকছে হুগলির বিখ‌্যাত মিষ্টি মনোহরা। রাজ‌্য সম্মেলনে খরচ আনুমানিক ১ কোটি টাকারও বেশি। এমনটাই খবর পার্টি সূত্রে। ২০১১ সালে রাজ্যপাট হারানোর পর একের পর এক নির্বাচনে বিপর্যয়ের ধাক্কায় রক্তশূন্য পার্টির দুর্দিনে কার্যত চারদিন ধরে চিন্তা-মন্থনের পিছনে কেন এত আড়ম্বর, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে পার্টির অন্দরেই।

তবে এসব প্রশ্নে কান না দিয়ে সম্মেলনের দায়িত্বে থাকা হুগলি জেলা পার্টি আবার অতিথি কমরেডদের আতিথেয়তায় কোনও খামতি রাখতে চাইছে না। চন্দননগরের জলভরা থেকে চণ্ডীতলার গুড়ের মিষ্টি, জনাইয়ের মনোহরাও থাকতে চলেছে নেতাদের ব্রেকফাস্ট থেকে লাঞ্চ-ডিনারে। আবার আনার ব‌্যবস্থা হচ্ছে প্রসিদ্ধ রাবড়ি গ্রামের সুস্বাদু রাবড়িও। এদিকে, সংবাদ মাধ‌্যমের কাছে দলের ভিতরের খবর পৌঁছনো আটকাতে সিরিয়াল নম্বর ও কোডিং-সহ খসড়া দেওয়া হচ্ছে রাজ‌্য সম্মেলনের প্রতিনিধিদের। থাকছে না পিডিএফও। ছবি-সহ থাকছে প্রতিনিধিদের আইডি কার্ডও।

হুগলির ডানকুনির কোল কমপ্লেক্সের শান্তিমঞ্চে সিপিএমের রাজ‌্য সম্মেলনে উদ্বোধনী ভাষণ দেবেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস‌্য প্রকাশ কারাট ও রাজ‌্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। ২৫ ফেব্রুয়ারি ডানকুনি ফুটবল মাঠে প্রকাশ‌্য সমাবেশ। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে প্রায় ৫০০ প্রতিনিধি আমন্ত্রিত। খরচে কোনও খামতি রাখছে না সিপিএমের। দিল্লি রোড ও দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ের ধারে গোটা ১৫ হোটেল, লজ ও গেস্ট হাউস ভাড়া নেওয়া হয়েছে। সম্মেলন স্থলে পৌঁছতে স্টেশন থেকে রাখা হয়েছে গাড়ির ব‌্যবস্থাও।

বিধানসভা ও লোকসভায় বঙ্গ সিপিএম শূন‌্য। দলে রক্তক্ষরণ অব‌্যাহত। ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করছে বঙ্গ সিপিএম। কিন্তু তারপরও পার্টির রোগমুক্তি হচ্ছে না। ফিরছে না হারিয়ে যাওয়া ভোটও। সিপিএমের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশই শুধুমাত্র ফেসবুকে ‘বিপ্লবী’। তাছাড়া, তরুণ প্রজন্মকে সামনে এনেও গত লোকসভা নির্বাচনে প্রায় সব প্রার্থীরই জমানত জব্দ হয়েছে। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর ওষুধ খুঁজতেই মূলত আলোচনা হবে সম্মেলনে।

কিন্তু পার্টির দুর্দিনে বড় মঞ্চ, একাধিক হোটেল ভাড়া করে চারদিনের সম্মেলন করা নিয়ে অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। এই রাজ‌্য সম্মেলন থেকেই যে রাজ‌্য কমিটি গঠন হবে, সেই নেতৃত্বই ২০২৬-এর ভোটে পার্টির সেনাপতি। ফলে নয়া রাজ‌্য কমিটি কীভাবে সাজানো হয়, তা নিয়ে কৌতূহল রয়েছে বাম মহলে। কারণ, গতবার তরুণ প্রজন্মকে প্রাধান‌্য দিয়ে রাজ‌্য কমিটি করে সিপিএম চমক দিলেও ভোটের ময়দানে তাতে কোনও লাভ হয়নি পার্টির।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *