সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কাজের চাপে ব্যস্ত প্রায় সকলে। নাওয়া খাওয়ার যেন সময় নেই। অথচ চিকিৎসকদের মতে, আটটার মধ্যে রাতের খাবার খেয়ে নেওয়া উচিত। সে নিয়ম অবশ্য মানা হয় না অনেকেই। বাধ্য হয়ে ঘড়ির কাঁটা আটটা পেরিয়ে গেলেও ভাত, রুটিতেই পেট ভরাতে হয়। দীর্ঘদিনের এই অভ্যাসই নাকি একদিন বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই সাবধান হওয়া প্রয়োজন। খাবার খাওয়ার সময় পরিবর্তন একান্ত করতে না পারলে মেনুতে আনতে হবে বদল। ভাত, রুটি ছেড়ে বিকল্প কোন কোন খাবার খেতে পারেন, রইল সে টিপস।
মুগডালের স্যুপ
মুগডাল হজমে বিশেষ সমস্যা হয় না। আবার তাতে প্রোটিনও রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ। তাই সামান্য জিরে, আদা এবং হলুদ দিয়ে তৈরি মুগডালের স্যুপ খেতে পারেন। বেশি রাতে খাওয়ার ফলে তেমন কোনও সমস্যা হবে না।
রোস্টেড মাখানা
পুষ্টিগুণে ভরা মুখরোচক খাবার বললে প্রথমে মাথায় আসে মাখানার কথা। মাখানা এখন ভীষণ জনপ্রিয়। আট থেকে আশি সকলেরই এই খাবার বেশ প্রিয়। বেশি রাত থেকে খাওয়াদাওয়ার অভ্যাস থাকলে এটি খেতে পারেন। শুকনো খোলায় ভাজা মাখানায় ক্যালোরি খুব বেশি নেই। তার ফলে শারীরিক সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
স্টিমড পনির
অনেকেই পনির খেতে ভালোবাসেন। তা বলে রাতবিরেতে ভীষণ রসিয়ে কষিয়ে রান্না করা খাবার না খাওয়াই ভালো। তার চেয়ে সেদ্ধ করা বা স্টিমড পনির খেতে পারেন। স্বাদের জন্য গোলমরিচ গুঁড়ো, একটু জোয়ান এবং অল্প নুন ছড়িয়ে নিতে পারেন। পনির অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে।
শশা-বাদাম মাখা
রাত বাড়লেই আপনার মুখরোচক খাবার খেতে ইচ্ছা করে? উত্তর হ্যাঁ হলে অবশ্যই চেখে দেখুন শশা-বাদাম মাখা। একটি পাত্রে ঝিরিঝিরি করে শশা কেটে নিন। সঙ্গে নিন রোস্টেড বাদাম। দু’টো মিশিয়ে ছড়িয়ে দিন সামান্য নুন, লেবুর রস এবং গোলমরিচ গুঁড়ো। এবার ভালো করে নেড়েচেড়ে খেয়ে দেখুন। এই স্বাদ আপনাকে পাগল করতে বাধ্য। শশা হজম করাতে সাহায্য করে, শরীর ঠাণ্ডাও রাখে। তাই বেশি রাতে এই খাবার খেলে সমস্যা হওয়ার কথা নয়।
সবজি দেওয়া চিঁড়ের পোলাও
ঘড়ির কাঁটা অনুযায়ী গভীর রাত। কিন্তু খিদে পেয়েছে প্রচণ্ড। এমন পরিস্থিতি হলে সবজি দিয়ে চিঁড়ের পোলাও খেতে পারেন। এই খাবারে হজমের সমস্যার সম্ভাবনা কম। আবার কম খাটনিতে পেট ভরা থাকতে অনেকক্ষণ।
হলুদ দেওয়া দুধ
অনেকেই রাতে বিশেষ কিছু খেতে পছন্দ করেন না। তবে একেবারে খালি পেটে ঘুমোতে যাওয়া উচিত নয় বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। সেক্ষেত্রে সামান্য হলুদ দিয়ে উষ্ণ দুধ খেতে পারেম। তবে চিনি না দেওয়াই ভালো।
বিকল্প খাবারের সুযোগ রয়েছে ঠিকই। তবে চিকিৎসকদের মতে নির্দিষ্ট সময়মতো খেয়ে নেওয়াই প্রয়োজন। কারণ, রাতের খাবার খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমোতে যাওয়া কাজের কথা নয়। তাতে আজ না হয় কাল, বিপদ হতেই পারে।