সুদীপ রায়চৌধুরী: জনবিন্যাসের সঙ্গে তাল মিলিয়ে রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটে প্রায় ১৪ হাজার ভোটগ্রহণ কেন্দ্র বাড়তে চলছে। সেক্ষেত্রে মোট ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা দাঁড়াবে ৯৫ হাজারের কাছাকাছি। এমনটাই ইঙ্গিত রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর সূত্রে। বুথের পুনর্বিন্যাস নিয়ে আলোচনা করতে শুক্রবার দুপুরে সর্বদল বৈঠক ডাকা হয়েছে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে। কোন এলাকায় কীভাবে বুথ বাড়ানো হবে সে সব নিয়ে আলোচনা হবে বৈঠকে।
কমিশন সূত্রের খবর, শহরাঞ্চলে ভোটদানের হার বাড়াতে ৬০০ বা তার বেশি ভোটার বাস করেন, এমন হাইরাইজ বিল্ডিং বা আবাসনে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র করা সম্ভব কিনা, তা জানাতে জেলাশাসকদের কাছে রিপোর্ট চেয়েছে কমিশন। আসলে নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী আগে এক বুথে সর্বোচ্চ ১৫০০ ভোটার রাখা হত। এখন সেটা কমিয়ে ১২০০ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়বে। তাছাড়া শহরাঞ্চলে হাইরাইজে যদি ভোটকেন্দ্র তৈরি হয়, তাহলে সেটার সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। সূত্রের খবর, রাজ্যের ৮০,৬৮০টি বুথ এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৪ হাজারের কিছু বেশি। ইতিমধ্যেই বর্ধিত এই ১৪ হাজার বুথের তালিকা রাজ্যের সব স্বীকৃত রাজনৈতিক দলকে।
শুধু বুথের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ভোটকেন্দ্রগুলির বর্তমান পরিস্থিতি কেমন সেটাও খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এবার ভোটারদের সুবিধার কথা বিশেষভাবে নজর রাখা হচ্ছে। কমিশন ঠিক করে দিয়েছে, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে টেবিল, চেয়ার, বেঞ্চ এবং বিদ্যুৎ সংযোগ থাকতে হবে। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পানীয় জলের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। বিশেষ ভাবে সক্ষম, অন্তঃসত্ত্বা এবং প্রবীণ ভোটারদের জন্য বসার ব্যবস্থা করতে হবে। কমিশনের প্রাথমিক পর্যবেক্ষণ, অনেক ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ওই সব পরিকাঠামো নেই বলে প্রায় অভিযোগ আসে। সমস্ত বুথের পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা খতিয়ে দেখতে রাজ্য সরকারের সংস্থা ‘দ্য ম্যাকিন্টশ বার্ন লিমিটেড’কে দায়িত্ব দিয়েছে কমিশন। বুধবারের সর্বদল বৈঠকে সে নিয়েও আলোচনা হতে পারে।