রাচীন-ঋতুরাজ জুটিতে বাজিমাত, আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’তে নড়বড়ে মুম্বইকে হারাল চেন্নাই

রাচীন-ঋতুরাজ জুটিতে বাজিমাত, আইপিএলের ‘এল ক্লাসিকো’তে নড়বড়ে মুম্বইকে হারাল চেন্নাই

সিনেমা/বিনোদন/থিয়েটার
Spread the love


মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১৫৫-৯ (তিলক ৩১, সূর্য ২৯, নূর ৪-১৮)
চেন্নাই সুপার কিংস: ১৫৮-৬ (রাচীন রবীন্দ্র ৬৫, ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৫৩)
চেন্নাই সুপার কিংস ৪ উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক:
আইপিএলের সবচেয়ে সফল দুই দলের লড়াই। এক কথায় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এল ক্লাসিকো। কিন্তু সেই লড়াই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারল কই! অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়া এবং দলের বোলিং বিভাগের মুল অস্ত্র জসপ্রীত বুমরাহহীন নড়বড়ে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে হারাতে বিশেষ বেগই পেতে হল না মহেন্দ্র সিং ধোনি, ঋতুরাজ গায়কোয়াড়দের চেন্নাই সুপার কিংসকে। হ্যাঁ খেলার ফল হয়তো বলছে, চেন্নাই এদিন জিতেছে ৪ ইউকেটে।  মাত্র ৫ বল বাকি থাকতে। কিন্তু বাস্তব হল, গোটা ম্যাচের বেশিরভাগ সময়ই দাপট দেখিয়েছে ইয়েলো আর্মি। প্রথম ইনিংসে কিছুটা সময় বাদ দিলে সেভাবে ম্যাচেই ছিল না মুম্বই।

রবিবার চিপকে প্রত্যাশিতভাবেই চেন্নাইয়ের স্পিনের ফাঁসে আটকে যায় মুম্বই। যদিও ইনিংসের শুরুর দিকে মুম্বই শিবিরে আঘাত হানেন পেসার খলিল আহমেদ। শুরুতেই পর পর উইকেট খুইয়ে চাপে পড়ে যায় মুম্বই। সেখান থেকে তিলক বর্মার সঙ্গে জুটি বেঁধে মুম্বইকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু মুম্বই ইনিংসের ১১তম ওভারে অনবদ্য ক্ষিপ্রতায় সূর্যকুমার যাদবকে স্টাম্প আউট করে খেলা থেকে মুম্বইকে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে দেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। সূর্যর উইকেটের পর একের পর এক উইকেট খোয়াতে থাকে মুম্বই। শেষ পর্যন্ত রোহিতদের ইনিংস শেষ হয়ে যায় ১৫৫ রানে। সূর্য ২৯ রান করেন। তিলক বর্মা করেন ৩১। শেষদিকে ২৮ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে দলের রানটাকে সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেন দীপক চাহার। মুম্বইয়ের এই দুর্দশার মূল কারিগর নূর আহমেদ। তিনি ৪ ওভারে ১৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি চেন্নাইয়েরও। দ্বিতীয় ওভারেই প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রাহুল ত্রিপাঠী। কিন্তু প্রথম উইকেটের পর জুটি বেঁধে চেন্নাই ইনিংসের হাল ধরেন রাচীন রবীন্দ্র এবং ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। ৬৭ রান যোগ করে সেই জুটি। অধিনায়ক ঋতুরাজ মাত্র ২৬ বলে ৫৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তাঁকে ফেরান মুম্বইয়ের তরুণ রহস্য স্পিনার ভিগনেশ পুথুর। ওই তরুণ স্পিনারের হাত ধরেই এরপর খানিক লড়াইয়ে ফেরে মুম্বই। একে একে শিবম দুবে, দীপক হুডা, স্যাম কুরানরা প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে রাচীন রবীন্দ্র এবং রবীন্দ্র জাদেজা শেষদিকে মাথা ঠান্ডা রেখে একপ্রকার অনায়াসেই দলকে জিতিয়ে দেন। রাচীন একাই করেন ৬৫ রান। শেষদিকে অবশ্য দুটো বলের জন্য মাঠে নামতে হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকেও। 

এদিনের সহজ জয় আরও একবার বুঝিয়ে দিল, এই মরশুমেও নিজেদের ঘরের মাঠে অপ্রতিরোধ্য হতে চলেছে চেন্নাই সুপার কিংস। চিপকে অন্তত চেন্নাইকে হারাতে বেশ বেগ পেতে হবে বিপক্ষকে। তবে এদিন হারলেও খুব একটা হতাশ হবে না মুম্বই। প্রথমত দলের দুই মূল শক্তিকে বাদ দিয়ে খেলতে হয়েছে তাঁদের। তাছাড়া, গত একযুগ ধরে প্রথম ম্যাচে হারাটাই যেন দস্তুর হয়ে গিয়েছে মুম্বইয়ের। তাই প্রথম ম্যাচে হার নতুন কিছু নয় রোহিতদের জন্য। তাছাড়া এদিনের ম্যাচে তরুণ ভিগনেশ পুথুর যেভাবে পারফর্ম করলেন, সেটাও ভরসা দেবে মুম্বই ম্যানেজমেন্টকে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *