- হর্ষ দত্ত
গত বছর অগাস্ট মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে, আরজি কর হাসপাতালের এক সম্ভাবনাময় জুনিয়ার ডাক্তারকে, গ্যাং রেপ ও হত্যা করার প্রতিবাদে ধিক্কার, বিদ্রোহ ও অনশনের বেদনাময় পর্বের ঢেউ আছড়ে পড়েছিল এ রাজ্যের সাগর থেকে পাহাড়ে। উদ্বুদ্ধ হয়েছিল টিকলির প্রতিরোধী সত্তা। অপরের হাতে হাত রেখে মানববন্ধনের মিছিলে নিজের প্রতিবাদকে মিশিয়ে দিয়েছিল। কলকাতায় একটা অতিদীর্ঘ পদযাত্রার মাঝখানের অংশটি যখন সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউ দিয়ে যাচ্ছে, তখন চিরায়ত ওর পাশে এসে ডেকেছিল, টিকলি…।
আরে, তুমি! টিকলি অবাক, এতক্ষণ কোথায় ছিলে?
উন্মাদনায়, পথচলার শ্রমে ঘামে ভেজা মুখে, হাসির আভাস টেনে চিরায়ত উত্তর দিয়েছিল, সবসময় তো তোমার পাশাপাশি আছি!
টিকলি রক্তিম চোখে কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে, দাঁতে দাঁত চেপে বলেছে, অন্য কেউ হলে ঠাস করে চড় মারতাম।… এই মানববন্ধন দুরন্ত ঝড়ের মতো, তীক্ষ্ণ তিরের মতো প্রবল গর্জনে একটা লক্ষ্যের দিকে এগোচ্ছে। এখন ফাজলামি করবে না।
রাতের দিকে পদযাত্রা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে, দ্রোহের আগুনের কাছাকাছি অবস্থান করার বদলে, ধর্ষিতা, নির্যাতিতা ও মৃতা তরুণী ডাক্তারের বাড়ির উদ্দেশে, চিরায়ত রওনা দিয়েছিল। বিটি রোড ধরে হেঁটে সোজা সোদপুর। উদ্বিগ্ন টিকলি ফোনে ওর সঙ্গে একবার যোগাযোগ করতে পেরেছিল। তারপর সব বিচ্ছিন্ন।
সেই অকালমৃতা দেবীমানবীর বাড়ির গলিতে টহলদার পুলিশ দেখে, চিরায়ত বড় রাস্তায় শুয়ে-বসে সময় কাটিয়েছে। সকালবেলায় যখন আন্দোলনের কেন্দ্রস্থলে ফিরে এল, তখন ওর অবস্থা শোচনীয়। দুশ্চিন্তায় অবসন্ন হয়েও টিকলি বুঝতে পেরেছে, চিরায়ত বাড়ি ফিরে না গেলে, চরম অসুস্থ হয়ে, মরে পড়ে থাকবে রাস্তায়। তিন-চার মাস পরেই মানুষ ওকে ভুলে যাবে।
ইট গেঁথে, লোহার রেলিং বা ফেন্সিং দিয়ে তৈরি, লম্বাটে ধরনের চতুষ্কোণ পথ-উদ্যানে আবর্জনা থেকে ইঁদুর—সব কিছু আছে, কেবল বাগান নেই। তেমনই একটা পরিচর্যাহীন চতুষ্কোণের গায়ে ঠেস দিয়ে বসেছিল চিরায়ত। দ্রুত পায়ে ওর কাছে গিয়ে টিকলি কঠিন গলায় বলেছিল, আমি কোনও কথা শুনতে চাই না। তুমি এখুনি বাড়ি চলে যাবে। পেট ভরে খেয়ে নিয়ে সোজা বিছানায়। একসময় ঘুম ভাঙবে, কিন্তু কোনও অবস্থায়, আজ আর আন্দোলনে যোগ দিতে আসবে না। দিস ইজ মাই অর্ডার।…
টিকলি যা নির্দেশ দিয়েছিল, চিরায়ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। অনেক রাত্রে ওর আচমকা ঘুম ভেঙে গেছিল। জাগরণের পরমুহূর্তে জড়ানো গলায় ফোন করেছে, তুমি এখন কোথায়?
উন্মাদনায় ভরপুর টিকলি জানিয়েছিল, আন্দোলনে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জুনিয়ার ডাক্তারদের সঙ্গে আমরা বহু মানুষ বসে আছি। আমি বাড়ি ফেরার জন্যে কোনও গাড়ি পাইনি।…কাল ভোরেই বাড়ি চলে যাব। ফ্রেশ হতে হবে। চিন্তা কোরো না। চিরায়তর সঙ্গে ওর সম্পর্ক, ধীরে ধীরে কখন যে এমন অন্তর্লীন হয়ে গেছে, টিকলি বুঝতেই পারেনি।
2 traces ## house
সাত-আট মাস পার হওয়ার আগেই একসময় স্তিমিত হয়ে গেল আন্দোলন। কোর্টের নির্দেশে ও শাসকের সাংবিধানিক ক্ষমতাকে মান্যতা দিয়ে জুনিয়ার ডাক্তাররা ফিরে গেলেন হাসপাতালে। কী আশ্চর্য, আলগা হয়ে গেল হাতের মধ্যে হাত রাখা স্বেচ্ছাবন্ধন!
চারপাশে তাকিয়ে টিকলি অবাক! নিজের কাছে নিজেই পরাজিত। ধিকিধিকি আগুন কোথাও কি জ্বলছে প্রলয়ের অপেক্ষায়? টিকলি উত্তর দিতে পারবে না। তবে ও নিশ্চিত, হত্যার শিকার প্রয়াতা জুনিয়ার ডাক্তারের মা-বাবার বুকের ভেতর বাজছে অগ্নিবীণা।
প্রবল ক্ষেপে গিয়ে চিরায়ত বলেছিল, এখানে প্ল্যান মাফিক, সব কিছু জটিল আইনি ঘূর্ণাবর্তে ফেলে দেওয়া হয়। ভেঙে যায় প্রতিরোধের পাঁচিল। পুরো ঘটনার ওপর ধামাচাপা পড়ে যায়। মিছিলে অংশগ্রহণ ও স্লোগানে গলা মেলানো ছাড়া সাধারণ মানুষ আর বেশি দূর যেতে পারে না। নির্ঝঞ্ঝাটে বেঁচে থাকার তাগিদকে উপেক্ষা করতে পারা দুরূহ।
চিরায়তর কথাগুলো মন দিয়ে শুনে, টিকলি স্বল্প হেসে বলেছিল, ধামাচাপা দিতে দিতে একদিন সব ধামা শেষ হয়ে যাবে। সেই সুদিনের জন্যে অপেক্ষা করা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
পথে নেমে আন্দোলন করার দিন বোধহয় শেষ হয়ে গেল। এখন চলছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, চাকরিহারা শিক্ষকদের ন্যায়বিচার পাওয়ার আন্দোলন।…বিড়বিড় করে চিরায়ত আরও কী সব বলতে বলতে চলে গেছিল।
মাস চারেক মানুষটার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি টিকলি। ওর মা ভালোরকম অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ার পর, পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কাজে আটকে পড়ে টিকলি। এদিকে চিরায়তর সঙ্গে কন্ট্যাক্টের চেষ্টা করলেই যে ওকে পাওয়া যাবে, তারও কোনও স্থিরতা নেই। কেননা মোবাইল রিচার্জ করতে ভুলে যায়। এবারেও তেমন কিছু ঘটেছে ভাবতে ভাবতে, টিকলি শেষ চেষ্টার মতো আজ ফোন করল। ভাগ্য দারুণ সুপ্রসন্ন, পেয়ে গেল চিরায়তকে, কী ব্যাপার তোমার? কোথায় মুখ লুকিয়ে আছ! নাকি নির্দোষ টিচারদের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছ?
এসব আন্দোলন-ফান্দোলন থেকে আমি মন তুলে নিয়েছি। আরজি কর নিয়ে আন্দোলিত, সমাজের সর্বস্তরের মানুষ যেখানে ধীরে ধীরে উবে যায়, সেখানে শিক্ষকদের প্রতিবাদের আওয়াজ কতদূর পৌঁছোবে!… বাদ দাও, বাদ দাও। কেউ না বললেও বেশ বুঝতে পারছি, এই দেশে, এই রাজ্যে নিজের মতো করে বাঁচতে হবে। নিজেকেই দেখতে হবে নিজের স্বপ্ন।
আরে, তোমার স্বপ্ন অন্য কেউ দেখবে কেন? টিকলি মধুর হেসে বলেছিল।
আসল সত্য এটাই। যাক গে শোনো, তুমি একটা ঠিকানা লিখে নাও। কাল দুপুর দুটো নাগাদ চলে আসবে। তোমাকে বেশ কয়েকবার ফোন করতে গিয়েও করিনি। আসলে কাজটা গুছিয়ে উঠতে পারছিলাম না।
কী কাজ?…তোমার কাজের কথা শুনলেই ভয় লাগে। টিকলি উদ্বেগ লুকিয়ে বলল, ঠিক আছে, যাব।
আঃ, তুমি নিজের চোখে আগে দেখে যাও। এটাই এখন কাজের কাজ। ফোন রাখছি। বাই বাই…
2 traces ## house
আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোডের ওপর গলিটার অবস্থান। টিকলি লেনের ভেতরে ঢুকে এল। যে ঠিকানা লিখে এনেছিল, তার সঙ্গে মিলিয়ে সামনে দাঁড়াতেই নজরে এল, বাড়িটা উনিশশো সাতান্ন সালে তৈরি, প্রস্থে বেশ লম্বা। একটু দূরে দাঁড়িয়ে হাসছে চিরায়ত। টিকলি সময়মতো এসেছে। ওকে চৌকো মতন ঘরটায় বসিয়ে, উৎসাহের তোড়ে ভেসে যেতে যেতে চিরায়ত বলল, আমার স্কুলের বন্ধু আয়ুষ্মান, এই দ্বিতল আবাসের প্রায় শেষ প্রান্তে অবস্থিত, মেজ্যানিন ফ্লোর ও গ্যারাজ—এই ফাঁকা জায়গা দুটো, শিশুদের জন্যে নামমাত্র ভাড়ায় ব্যবহার করতে দিয়েছে। ওঁদের ছয় আসনবিশিষ্ট বড় গাড়ি গ্যারাজে আর রাখা যায় না। অন্যত্র থাকে। বন্ধুটির মা ছাড়া বাড়ির সবাই, গাড়ি চালাতে পারেন। অতএব ড্রাইভারেরও দরকার নেই। দেখেছ নিশ্চয়ই, গ্যারাজের ওপরে শিশুদের লাইব্রেরি ও আঁকা শেখানোর স্কুলের আর্টিস্টিক সাইনবোর্ড—অক্ষর ও অঙ্কন।
এটাই ফোনে না-বলা চিরায়তর কীর্তি। গ্যারাজের একপাশে একটা ক্ষুদ্র কিউবিকলে ওর অফিস, ছোট টেবিল ও দুটো চেয়ার। এর পাশেই অভিভাবকদের বসবার জন্যে একটা লম্বা বেঞ্চ। এখানেই সবুজ রঙের নকল গ্রাস কার্পেটের ওপরে বাচ্চাদের বসিয়ে আঁকা শেখার ক্লাস হয়। মধ্যবর্তী তলায় শিশুপাঠ্য বইয়ের লাইব্রেরি। চিরায়ত আত্মতৃপ্তি ঝরিয়ে বলল, চলো, পাঠাগারটা দেখিয়ে নিয়ে আসি।
গ্যারাজের ভেতর দিয়ে, সামান্য কয়েকটা সিঁড়ি ভেঙে ওপরে এসে টিকলি অবাক! বাচ্চাদের চোখের সমান্তরালে, নীচু বুকশেলফগুলো হরেকরকম বাংলা-ইংরেজি বই দিয়ে সাজানো। শিশুদের সরল মন ও ছোট্ট দেহের কথা মনে রেখে, তাদের হাতের কাছে বইগুলো রাখা হয়েছে। টিকলি ভালো লাগা এবং বিস্ময় থেকে বেরিয়ে এসে জিজ্ঞেস করল, এত বই তুমি কোত্থেকে পেলে?
জানাশোনা দোকান থেকে চেয়ে নিয়েছি। আবার অনেক বই ধারে কিনতে হয়েছে। চিরায়ত মৃদু শঙ্কায় উত্তর দিল। কেননা কোনও এফোর্টের পেছনে এতটুকু অন্ধকার টিকলি একদম পছন্দ করে না।
একটু থেমে চিরায়ত আবার বলল, প্ল্যান করে সাজাতে বাজেট ক্রস করে গেছে।… আগেই বলে রাখছি, ধার শোধ করার জন্যে বন্ধু টিকলির কাছেও হাত পাতব।… চেষ্টা করেও চাকরি পাইনি। তবে টিউটোরিয়াল হোমে পড়িয়ে আর টিউশনি করে কিছু রোজগার হয়। কিন্তু নির্মল শিশুদের জন্যে এই উদ্যোগ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারব কি না সন্দেহ। অথচ স্কুলের পাঠ্যবই ছাড়া ছোটরা অন্য কোনও বই পড়তেই চায় না। রূপকথার বর্ণময় জগৎটাই ওদের কাছে অধরা থেকে যাচ্ছে।
তাহলে এসব করলে কেন? টিকলি বিরক্তি চেপে রেখে বলল, সমাজসেবা করতে গেলেও টাকা ইনভেস্ট করতে হয়।…আচ্ছা, লাইব্রেরিতে নিশ্চয়ই মেম্বারশিপ সিস্টেম। মানে পাঠাগারের গ্রাহক বা সদস্য হওয়া জরুরি। তা, এখনও পর্যন্ত কতজন বাচ্চা সদস্য হয়েছে?
মাথা সামান্য নীচু করে চিরায়ত উত্তর দিল, এগারোজন। প্রথম প্রথম পাঁচ-ছ’জন বাচ্চাকে গার্জেনরা রোজ নিয়ে আসতেন। এখন কমতে কমতে একজনে এসে ঠেকেছে। আয়োজন সত্ত্বেও খামতিটা ঠিক কোথায় বুঝতে পারছি না।
কোনও মন্তব্য করল না টিকলি। নীচে নামতে নামতে জানতে চাইল, অক্ষর ও অঙ্কন কখন খোলে?
বেলা তিনটের সময়। সাড়ে ছ’টা পর্যন্ত খোলা থাকে। ড্রইং ক্লাসে খুদে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা বেশি।
তুমিই কি ওদের আঁকতে শেখাও? নাকি অন্য কেউ আসেন! টিকলি অপলকে চিরায়তর দিকে তাকিয়ে আছে।
ম্লান হাসল চিরায়ত, কাউকে মাইনে দেওয়ার সামর্থ্য এখন আমার নেই।…এখনই চলে যাবে না তো! তিনটে বাজতে আর দশ মিনিট বাকি। বইয়ের সম্ভার বাচ্চাদের তেমনভাবে টানতে পারছে না। কিন্তু রং নিয়ে ওদের খুব মাতামাতি। নিজের চোখে একবার দেখে যাও। আমি ওদের একঘেয়ে স্কেচ পেন, প্যাস্টেল, ওয়াটার কালার, তুলি-ব্রাশ ইত্যাদি থেকে রঙের জগতে নিয়ে গেছি। ওরা যে অঙ্কন শিখছে তার নাম ফ্লুয়িড বা প্যর্ পেন্টিং।
দেওয়ালে যে ক্যানভাসগুলো ঝুলছে, সেগুলো কি…। টিকলি কথা থামিয়ে দিল।
ইয়েস, ওগুলোই ফ্লুয়িড পেন্টিং। এই অঙ্কন পদ্ধতিতে ড্রইং-এর কোনও ভূমিকা নেই। ওই যে দশ বাই সাত ইঞ্চি মাউন্টেড সাদা ক্যানভাসগুলো দেখছ, ওগুলোর ওপর নানা রং ঢেলে, নাড়াতে নাড়াতে আশ্চর্য সব ছবির জন্ম হয়।…আরও উৎসাহে চিরায়ত জানাল, উনিশশো তিরিশ সালে, ডেভিড আলফারো সিক্যুইরাস নামে এক মেক্সিকান ম্যুরালিস্ট এই পদ্ধতির প্রচলন করেন। তখন সম্ভবত জলরং ব্যবহৃত হত। ষাটের দশক থেকে ব্যবহার হয় অ্যাক্রিলিক কালার। এই সময়ে ফ্লুয়িড আর্ট দারুণ জনপ্রিয় সৃষ্টি। বাঁধা গৎ নেই, তাই বাচ্চারা আনন্দে মেতে ওঠে।
চাপা দীর্ঘশ্বাস ফেলে টিকলি ছবিগুলোর সামনে দাঁড়াল। তিনটে বেজে যাওয়ার পর, মায়ের হাত ধরে তিন থেকে পাঁচ বছরের ছেলেমেয়েরা একে একে আসছে, বসছে। সাত-আটজন মহিলার মধ্যে একজন ছিপছিপে, তরুণী মা হঠাৎ চিরায়তের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চিৎকার করে উঠলেন, আপনি ভর্তির সময়ে বলেছিলেন, ওদের রঙিন স্বপ্ন দেখাবেন। কিন্তু যে ধরনের আঁকা ওদের শেখাচ্ছেন, তাতে আমরা ক্ষুব্ধ। দেওয়ালে, বিছানায়, টেবিলের ঢাকনায় ছেলেমেয়েরা অ্যাক্রিলিক রং ঢেলে কী অবস্থা করছে! ঘরদোরগুলো হয়ে উঠছে রঙের ডাস্টবিন। চলুন, নিজের চোখে একবার ক্ষয়ক্ষতি দেখে আসবেন।
মিনমিন করে, ক্ষিপ্ত মহিলাকে সমর্থন করলেন আরও কয়েকজন মা। এবারে যেন টিকলিকে সাক্ষী রেখে, চড়া গলায় তরুণী ঘোষণা করলেন, স্যর, আপনি ট্র্যাডিশনাল ড্রয়িং-পেন্টিং না শেখালে আমরা বাচ্চাদের ফিরিয়ে নিয়ে যাব।
চিরায়ত এমন অপমানের জন্যে প্রস্তুত ছিল না। টিকলির দিকে অসহায় চোখে তাকাল। টিকলি হিমস্বরে ক্ষিপ্ত মহিলাকে বলল, নিশ্চয়ই সন্তানকে নিয়ে যাবেন। এটা আপনার অধিকার। তবে মনে রাখবেন, একটা কিউট লাইব্রেরি ও অন্যরকম আর্ট স্কুলের মাধ্যমে উনি ফিরিয়ে আনতে চাইছেন, শিশুদের হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নের ভুবন আর সৃজনী প্রতিভা।