যোগী সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ কুম্ভমেলার দুর্ঘটনায় মৃত বিজয়গড়ের বৃদ্ধার ছেলে, পাশে থাকার আশ্বাস অরূপের

যোগী সরকারের উপরে ক্ষুব্ধ কুম্ভমেলার দুর্ঘটনায় মৃত বিজয়গড়ের বৃদ্ধার ছেলে, পাশে থাকার আশ্বাস অরূপের

জ্যোতিষ খবর/ASTRO
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ময়নাতদন্ত হয়নি। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়াই দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ফলে, মৃত্যুর পরে আর্থিক সাহায্য পাওয়া নিয়েও তৈরি হয়েছে তীব্র সংশয়। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে এমনটাই জানাল কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় প্রাণ হারানো বৃদ্ধ বাসন্তী পোদ্দারের পরিবার। তুলে ধরল যোগী সরকারের চরম অব্যবস্থা ও ব্যর্থতার চিত্র। মেলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ভয়ংকর ক্ষুব্ধ এ রাজ্য থেকে কুম্ভে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সব পরিবারই। অরূপ অবশ্য ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন। জানিয়েছেন, ‘‘যাঁর কেউ নেই তাঁর মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় রয়েছেন। যা করণীয় আমরাই করব।’’ অর্থাৎ কুম্ভে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সব পরিবারকেই সর্বতোভাবে সাহায্য করবে রাজ্য সরকার।

বৃহস্পতিবার বিজয়গড়ে বাসন্তী দেবীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও স্থানীয় কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত। মৃতের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘‘একটা কাগজ দেওয়া হয়েছে। তাতে কারও সই নেই। এটা সরকারি প্রক্রিয়া নয়। যেখানে মৃত্যু হয় সেখান থেকে কাগজ দিতে হয়। ময়নাতদন্ত করতে হয় দেহ। ডেথ সার্টিফিকেট লাগে। কিছুই করেনি। যত তাড়াতাড়ি বিষয়টি লুকনো যায় সেই ব্যবস্থাই করেছে।’’ তবে রাজ্য সরকার যে শোকার্ত পরিবারগুলির পাশে সর্বতোভাবে আছে তা এদিন স্পষ্ট জানিয়ে দেন মন্ত্রী। সেই সঙ্গে কুম্ভের ব্যবস্থাপনায় উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ব্যর্থতা নিয়েও সরব হন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায়ের সুরেই গঙ্গাসাগর মেলার তুলনা টেনে অরূপ বলেন, ‘‘ওখানকার পুলিশ প্রশাসনের পুণ্যার্থীদের প্রতি দেখভালের দায়িত্ব ছিল না। এখানে গঙ্গাসাগরে সাড়ে তিন কিমি নদী পার হতে হয়। ওখানে সড়কপথ রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা দেয়। তাও ওরা পুরোপুরি ব্যর্থ।’’ উল্লেখ্য , এবার গঙ্গাসাগরে এক কোটির বেশী পুন্যার্থী সমাগম হয়েছে। মেলার ব্যবস্থাপনার অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন অরূপই। 

এদিন মন্ত্রীর সমানে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বাসন্তীদেবীর ছেলে। অভিযোগ করেন, মায়ের দেহ পেতে গিয়েও চরম হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে তাঁকে। জানা গিয়েছে, বৃদ্ধা মাকে নিয়ে ছেলে ও মেয়ে সোমবার কুম্ভমেলায় যান। বুধবার মৌনী অমাব‌স‌্যায় পুণ‌্যস্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বৃদ্ধার। অভিযোগ, পদপিষ্ট পুণ‌্যার্থীদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন‌্য অ‌্যাম্বুলেন্সও পাওয়া যায়নি। মৃতার ছেলের দাবি, পদপিষ্ট হওয়ার পর অনেকক্ষণ সেখানেই পড়ে ছিলেন ওই বৃদ্ধা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনও গাড়ি ছিল না। দেহের ময়নাতদন্তও হয়নি। দেহ হস্তান্তরের সময় যে কাগজ দেওয়া হয়েছে, তাতে সে রাজ্যের কোনও সরকারি স্ট্যাম্প নেই। সই নেই আধিকারিকদের। শুধু বলা হয়েছে, ডেথ সার্টিফিকেট পরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু নথিপত্র না থাকলে তা কীভাবে সম্ভব হবে, সেই প্রশ্ন উঠছে।

উল্লেখ্য, কুম্ভমেলায় পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য হিসেবে ২৫ লক্ষ টাকা ঘোষণা করেছেন উত্তরপ্রদেশের মুখ‌্যমন্ত্রী যোগী আদিত‌্যনাথ। মৃতের পরিবারের বক্তব‌্য, ডেথ সার্টিফিকেট না পেলে সেই অর্থের জন‌্য কীভাবে আবেদন করবে তারা।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *