সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের গুপ্তচর সংস্থা মোসাদের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে আরও একজনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিল ইরান। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির নাম মাজিদ মোসায়েবি। অভিযোগ, ইরান থেকে গোপন তথ্য ইজরায়েলে পাচার করতেন মাজিদ। যার জেরে আইনি প্রক্রিয়া শেষে রবিবার তাঁকে ফাঁসিকাঠে ঝোলায় ইরান প্রশাসন।
রবিবার সকালে ইরানের বিচার বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ আইনি প্রক্রিয়ার পর অভিযুক্ত মাজিদের ফাঁসির সাজা কার্যকর করা হয়েছে। তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে মাজিদ ইজরায়েলের গোয়েন্দা দপ্তরের হয়ে কাজ করতেন। শুধু গুপ্তচরবৃত্তি নয়, দেশদ্রোহিতার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যার জেরেই ইরানের সুপ্রিম কোর্ট মাজিদকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দেয়। রবিবার সেই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইরানে হামলার পর ইজরায়েলের তরফে জানানো হয়েছিল, মোসাদের নিখুঁত পরিকল্পনায় সফলভাবে হামলা চালাতে সক্ষম হয় তারা। এরপরই সামনে আসে ইরানের সেনাবাহিনীর মধ্যেও লুকিয়ে রয়েছে মোসাদের গুপ্তচর। এই গুপ্তচরদের পাকড়াও করতে জোরকদমে অভিযান শুরু করে দিয়েছে ইরান। গোটা দেশজুড়ে চলছে তল্লাশি। সন্দেহভাজন ২৮ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, গ্রেপ্তার হওয়া সকলে মোসাদের গুপ্তচর। ইতিমধ্যেই এক সন্দেহভাজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শুধুমাত্র গুপ্তচরদের খুঁজে বের করতে বিশেষ তদন্তকারী দল গঠন করা হয়েছে।
এদিকে এই মৃত্যুদণ্ড সেই দিন কার্যকর হল যেদিন ইরানের পরমাণু ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে আমেরিকা। ভারতীয় সময় অনুযায়ী, রবিবার ভোররাতে ইরানের ফোরদো, নাতানজ ও ইসফাহান পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালায় মার্কিন বোমারু বিমান বি-২। মাটির নিচে অবস্থিত এই স্থাপনাগুলি ধ্বংসে ব্যবহৃত হয়েছে আমেরিকার বিধ্বংসী বাঙ্কার ব্লাস্টার বোমা। তিন পরমাণু কেন্দ্রে মার্কিন হামলার পরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনেই-এর এক উপদেষ্টা বলেছিলেন, “এবার আমাদের পালা। আমেরিকার নৌবহরে পালটা হামলা চালাবে ইরান।”