মোদির হেলিপ্যাড তৈরিতে মাঠ খোঁড়া! পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক

মোদির হেলিপ্যাড তৈরিতে মাঠ খোঁড়া! পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


রাজ কুমার ও ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: প্রধানমন্ত্রীর জোড়া সভা। আলিপুরদুয়ার প্যারেড গ্রাউন্ড অর্থাৎ সভাস্থলে নামার কথা মোদির হেলিকপ্টারের। তার প্রস্তুতি নিতে প্যারেড গ্রাউন্ডে মাঠ খুঁড়ে হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছিল। তাতে পরিবেশ দূষণ হয়েছে, এই অভিযোগে জাতীয় পরিবেশ আদালতের দ্বারস্থ হতে চলেছেন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। সোমবার এমনই জানিয়েছেন তিনি। খুব শিগগিরই জেলা সফরে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে মাঠ পরীক্ষা করার সময় বিষয়টি চোখে পড়েছে। আর তার সঙ্গে সঙ্গেই এনিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা।

গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে সভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেই উপলক্ষে প্যারেড গ্রাউন্ডে হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছে। তার জন্য সবুজ নষ্ট করে মাঠ খোঁড়া হয়েছে, বসানো হয়েছিল কংক্রিটের হেলিপ্যাড। তাতে পরিবেশের ক্ষতি হয়েছে বলে অভিযোগ আলিপুরদুয়ারবাসীর। সোমবার তা নিয়ে স্থানীয় পরিবেশ সংগঠনগুলি প্রতিবাদে নেমেছিল। তাতে শামিল হন আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল। তারপরই বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, ”প্যারেড গ্রাউন্ড এখানকার মানুষের কাছে একটা আবেগ। তাঁরা সবুজ দেখতে চান। গুরুত্বের নিরিখে কলকাতার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের পরই আলিপুরদুয়ারের প্যারেড গ্রাউন্ড। কিন্তু সেই মাঠ খোঁড়াখুঁড়ি করে কংক্রিটের হেলিপ্যাড তৈরি হয়েছিল। তাতে এখানকার পরিবেশ নষ্ট হয়েছে। এখানকার মানুষজন আমার কাছে আবেদন জানিয়েছেন, এই বিষয়টি নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে। আমি তাঁদের পাশে আছি। মাঠ খোঁড়ার বিষয়টি আমি বিধানসভাতেও তুলব। তাছাড়া গ্রিন ট্রাইবুনালেও যাব।”

এনিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সভাপতি মিঠু দাসের পালটা দাবি, ”গত ২৯ মে আলিপুরদুয়ারে সভা করতে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এটা সরকারি অনুষ্ঠান ছিল। আয়োজন করেছিল জেলা প্রশাসন। সেই সভায় এত লোক হয়েছিল যে দেখে তৃণমূলের মাথা ঘুরে গিয়েছে। দিশেহারা দশা নেতৃত্বর। আর তাই এসব নিয়ে জলঘোলা করতে চাইছে। আমরা বারবার বলছি, জেলা প্রশাসনের দায়িত্ব ছিল এই সভা আয়োজন করার। তাই তারাই যা করার করেছে। কোথাও কোনও নিয়মভঙ্গ হলে প্রশাসনকে প্রশ্ন করা হোক। তা না করে বিজেপিকে টার্গেট করছে তৃণমূল।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *