মোদির সভার পরে বেহাল দুর্গাপুরের নেহরু ময়দান, ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ তৃণমূলের

মোদির সভার পরে বেহাল দুর্গাপুরের নেহরু ময়দান, ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ তৃণমূলের

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুর্গাপুরের নেহরু স্টেডিয়ামে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের উদ্বোধনে সভা করেছিলেন গতকাল, শুক্রবার। সেই সভা শেষের পর থেকে মাঠের পরিস্থিতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রধানমন্ত্রীর সভার জন্য মাঠ সম্পূর্ণ নষ্ট হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল। এদিন মাঠের জমা জল, মাটির মধ্যে ধানের চারা পুঁতে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হয়েছে মাঠ আবার আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনা হবে।

দুর্গাপুরের ইস্পাত কারখানার নেহরু স্টেডিয়ামে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জোড়া সভা করেন। সেজন্য মাঠে হ্যাঙার ও বিশাল মঞ্চ করা হয়। মাঠের বিভিন্ন জায়গা খোঁড়াও হয়েছিল। দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল প্রধানমন্ত্রী সভায় জনসমাগমও হয়েছিল। সভা শেষের পর শনিবার দেখা যায় মাঠের বেহাল দশা। বিভিন্ন জায়গায় গর্ত হয়ে জল জমে গিয়েছে। সবুজ মাঠের চেহারা প্রায় সম্পূর্ণই বদলে গিয়েছে। খেলার জগতে এই মাঠের গুরুত্ব যথেষ্ট বেশি। সভার জন্য মাঠ নষ্ট হল বলে অভিযোগ ওঠে। দিনভর বৃষ্টি হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী চলে যাওয়ার পর মাঠের অবস্থা একেবারেই ধান জমির আকার নেয়। জল জমে পরিণত হয়েছে জলা জমিতে। এই ইস্যুতেই সরব হয়েছে তৃণমূল। আজ, শনিবার তৃণমূলের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়। স্টেডিয়ামের মাঠের হতশ্রী চেহারার প্রতিবাদে এদিন মাঠে গিয়ে ধানের চারা লাগান তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

জেলা তৃণমূলের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর অভিযোগ, “রঞ্জি ট্রফি থেকে বড় বড় টুর্নামেন্ট এই মাঠে হয়েছে। দুর্গাপুরের ঐতিহ্য বলা যেতে পারে এই নেহেরু স্টেডিয়ামকে। দুর্গাপুরের অন্য জায়গাতেও সভা করা যেত। কিন্তু সেসব জায়গা ছেড়ে খেলার মাঠে সভা করে সব শেষ করে দিলেন। আমরা দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানা কর্তৃপক্ষকে চিঠি করছি। দ্রুততার সঙ্গে আগের ছন্দে নেহেরু স্টেডিয়ামকে ফিরিয়ে দেওয়া না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটব।” পাল্টা কটাক্ষ করেছেন জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অভিজিৎ দত্ত। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের জমিতে প্রধানমন্ত্রীর সভা করেছেন। এখনও ২৪ ঘন্টা পেরোয়নি। মণ্ডপ খোলার কাজ চলছে। তার আগেই তৃণমূলের জেলা সভাপতি এসে ধানের চারা রোপন করলেন। উনি এখন কৃষিমন্ত্রী হতে চাইছেন। সেজন্যই এইসব করছেন।” তিনি আরও বলেন, “মণ্ডপ খোলা শেষ হলেই বিজেপি কর্মীরা মাঠকে আগের জায়গায় ফিরিয়ে আনবেন।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *