মোদির ডিগ্রি বিতর্ক: তথ্য প্রকাশে রাজি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, স্থগিত রায়দান

মোদির ডিগ্রি বিতর্ক: তথ্য প্রকাশে রাজি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়, স্থগিত রায়দান

বৈশিষ্ট্যযুক্ত/FEATURED
Spread the love


সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডিগ্রি বিতর্কে রুজু হওয়া মামলায় রায়দান স্থগিত রাখল দিল্লি হাই কোর্ট। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শচীন দত্তর এজলাসে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, আদালতের কাছে পড়ুয়াদের নথি দেখাতে রাজি বিশ্ববিদ্যালয়। তথ্যের অধিকার আইনে করা এক পিটিশনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন তথা CIC ডিগ্রি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশের জন্য নির্দেশ দেয়। কিন্তু এদিন তুষার মেহতা আবেদন করেন, ওই নির্দেশ বাতিল করা হোক। এরপরই বিচারপতি দত্ত জানান, ”শুনানি শেষ। রায়দান স্থগিত।”

এদিন আদালতে তুষার মেহতা বলেন, ”সমস্ত রেকর্ড আদালতকে দেখাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও আপত্তি নেই। ১৯৭৮ সালের একটি ডিগ্রি রয়েছে, ব্যাচেলর অফ আর্ট।” প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশন ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর জনৈক নীরজ কুমার নামের এক ব্যক্তির তথ্যের অধিকার জানার অধিকারে দায়ের করা আর্জির প্রেক্ষিতে নির্দেশ দিয়েছিল ১৯৭৮ সালে সমস্ত বিএ পরীক্ষার রেকর্ড প্রকাশ্যে আনতে হবে। ওই বছরই প্রধানমন্ত্রী মোদি বিএ পাশ করেছিলেন। হাই কোর্ট ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি ওই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় জানায়, তাদের কাছে সমস্ত তথ্যই রয়েছে। কিন্তু জনস্বার্থ ছাড়া স্রেফ ‘প্রবল কৌতূহল’ নিরসন করার জন্য তথ্য জানার অধিকার আইনে এমন ব্যক্তিগত তথ্য জানাতে তারা নারাজ। তাদের আরও দাবি, একটি বিশ্বাসের জায়গা থেকে পড়ুয়াদের তথ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে রাখা থাকে। আইনের মারপ্যাঁচে কোনও অপরিচিত ব্যক্তির কাছে তা প্রকাশ করা যায় না। তাঁর মতে, এভাবে আরটিআই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। ভবিষ্যতে কেউ ১৯৭৯, কেউ হয়তো বা ১৯৬৪ সালের তথ্যও চাইতে পারেন।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *