প্রণব সরকার, আগরতলা: বাঙালি নিগ্রহ ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়ালেন সিপিএম পলিটব্যুরোর প্রাক্তন সদস্য তথা ত্রিপুরার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। এ ব্যাপারে তিনি বলেছেন, “এটা বিজেপি আর আরএসএস করছে। বিশেষ করে মুসলমানদের টার্গেট করার চেষ্টা করা হচ্ছে।।”
মমতার সুরে সুর মিলিয়ে মানিক সরকার বলেছেন, মুসলিমদের একটা বড় অংশের ভাষা বাংলা। তারা বাংলায় কথা বললেই কি বাংলাদেশি হয়ে গেল? তাঁর আরও প্রশ্ন, “এটা কে স্থির করে দিল? আসলে এটা বিজেপি-আরএসএসের মুসলিম দলিত ও মহিলা বিদ্বেষী দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।” যেভাবে মমতা এই ইস্যুতে পথে নেমেছেন। বড় সমাবেশ করে সেই মঞ্চ থেকে বাঙালিদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছেন, সেটারও প্রশংসা করছেন মানিক।
ভিনরাজ্যে বাঙালিদের আক্রান্ত হওয়া নিয়ে একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে সরব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহিদ সমাবেশের মঞ্চ থেকে কেন্দ্রের জারি করা ‘বাঙালি বিরোধী’ সার্কুলার তুলে ধরে মমতা দাবি করেন, ঘুরপথে কেন্দ্র এনআরসি করার চেষ্টা করছে। বাঙালিদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। মমতার অভিযোগ, বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে সন্ত্রাস চলছে। নির্বাচনের আগে বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাংলা বিরোধী সার্কুলার পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। মমতার দাবি, এই সার্কুলারে বলা আছে স্রেফ সন্দেহের বশে মানুষকে ১ মাসের জন্য আটকে রাখা যাবে। তৃণমূল নেত্রীর অভিযোগ, “এক হাজারের উপর মানুষকে মধ্যপ্রদেশ, কাউকে ওড়িশা তো কাউকে রাজস্থানের জেলে ভরা হয়েছে।”
রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্ব ভিনরাজ্যে বাঙালি হেনস্তার সেই অভিযোগকে আংশিকভাবে মান্যতা দিলেও সরাসরি মমতার পাশে দাঁড়াননি। বরং তাঁর বিরোধিতাই করেছেন। অভিযোগ করেছেন, মুখ্যমন্ত্রী এই ইস্যু উত্থাপন করছেন রাজনীতির স্বার্থে। কিন্তু ত্রিপুরার বিদগ্ধ বাম নেতা মানিক সরকার এই ইস্যুতে মমতার পাশে দাঁড়ালেন। মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে বড় মঞ্চ থেকে বাঙালি হেনস্তার প্রতিবাদ করেছেন, সেটারও প্রশংসা করেছেন তিনি।