সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগের দু’টি মরশুমে মুম্বইয়ের রাজ্য দলের অধিনায়ক ছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। সেই রাহানে নেতৃত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। সোশাল মিডিয়ায় নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। রাহানের এহেন সিদ্ধান্তের পর প্রশ্ন উঠছিল, তাঁর জায়গায় কি মুম্বইয়ের নেতৃত্বভার সামলাবেন শ্রেয়স আইয়ার? সেই প্রশ্নেরও উত্তর মিলেছে। লাল বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে শ্রেয়সের নাম ভেবেও দেখেনি মুম্বই ক্রিকেট সংস্থা।
বৃহস্পতিবার সোশাল মিডিয়ায় রাহানে লেখেন, ‘মুম্বইকে নেতৃত্ব দেওয়া গর্বের। এখানে ট্রফি জেতাও আমার কাছে বড় সম্মানের। তবে নতুন মরশুম শুরুর আগে নতুন ক্যাপ্টেন খুঁজে নেওয়ার এটাই আদর্শ সময়। সেই কারণেই আর নেতৃত্বে থাকতে চাই না। খেলোয়াড় হিসাবে মুম্বইয়ের হয়ে সেরাটা দেওয়ার ব্যাপারে বদ্ধপরিকর। আরও অনেক ট্রফি জেতাতে চাই মুম্বইকে।”
সাত বছরের খরা কাটিয়ে ২০২৩-২৪ মরশুমে রনজি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল মুম্বই। তখন মুম্বই অধিনায়ক ছিলেন রাহানে। তাছাড়াও রাহানের নেতৃত্বে গত মরশুমে ইরানি ট্রফিও জেতে মুম্বই। রাহানে ইস্তফা দেওয়ার পর অনেকেই ভেবেছিলেন, এবার লাল বলের ক্রিকেটে মুম্বইয়ের রাজ্য দলকে নেতৃত্ব দেবেন শ্রেয়স।
গত মরশুমে সৈয়দ মুস্তাক আলি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট এবং বিজয় হজারে ট্রফিতে মুম্বইকে নেতৃত্ব দেন শ্রেয়স। তাঁর নেতৃত্বে মুস্তাক আলি ট্রফি জেতে মুম্বই। সেই শ্রেয়সকে লাল বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হিসাবে ভাবা হল না। মুম্বইয়ের এমন সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কারণই বা কী? শ্রেয়স ভারতীয় দলে খেলেন। তাই রনজিতে ক’টা ম্যাচে তিনি খেলবেন, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাছাড়াও গত মরশুমে শেষ মুহূর্তে চোটের কথা বলে রনজিতে খেলেননি তিনি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, এটাই হয়তো শ্রেয়সের বিপক্ষে গিয়েছে। লাল বলের ক্রিকেটে মুম্বইয়ের অধিনায়ক করা হয়েছে শার্দূল ঠাকুরকে। তিনিও ভারতীয় দলের সদস্য হলেও নিয়মিত নন। তাই রনজিতে খেলতে তাঁর কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়।