সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইজরায়েলের মাটিতে হামলা চালানোর ফল হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে গাজার হামাস জঙ্গিরা। ইহুদি সেনার লাগাতার হামলায় পালানোর পথ পাচ্ছে না গাজার একদা শাসক। রিপোর্ট বলছে, হামাসের হাল এতটাই বেহাল যে যোদ্ধাদের বেতন দেওয়ারও অর্থ নেই তাদের কাছে। ফলে ভাঙন ধরেছে সংগঠনে।
৭ অক্টোবর ২০২৩ সালে ইজরায়েলের মাটিতে হামলা চালিয়েছিল হামাস। তার প্রতিক্রিয়ায় গত প্রায় ২ বছর ধরে লাগাতার অভিযানে হামাসের শীর্ষ নেতাদের ইতিমধ্যেই খতম করেছে ইজরায়েল। গুরুতর পরিস্থিতিতে হামাসের আর্থিক দৈন্য দশা নিয়ে সম্প্রতি এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে লন্ডনের এক সংবাদমাধ্যম। যেখানে দাবি করা হয়েছে, হামাসের আয়ের বেশিরভাগ রাস্তাই বন্ধ করেছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। গত চার মাসে এদের হাতে এসেছে মাত্র ২৪০ মার্কিন ডলার। ভয়ংকর আর্থিক সংকট ও লাগাতার হামলায় নেতৃত্বের মৃত্যুতে হামাসের আত্মবিশ্বাস চলে গিয়েছে তলানিতে। বেতন পাচ্ছে না হামাস যোদ্ধারা। গুরুতর অবস্থায় হামাসের সঙ্গ ত্যাগ করছে বেশিরভাগ যোদ্ধাই।
হামাসের বেহাল অবস্থার নেপথ্যে বিশেষজ্ঞদের দাবি, ইজরায়েলের গুপ্ত অভিযানে হামাসের প্রথম সারির সমস্ত শীর্ষ নেতার মৃত্যু হয়েছে। নেতৃত্বের অভাব হামাসকে ছিন্নভিন্ন করে দিয়েছে। প্রথম হামাস প্রধানকে খতম করার পর দ্বিতীয়বার যাকে এই পদে বসানো হয় তাকেও শেষ করেছে ইহুদি সেনা। এই পরিস্থিতিতে ভাঙন ধরেছে সংগঠনে। এদিকে হামাসের কৃতকর্মের ফল গাজার সাধারণ মানুষকে ভুগতে হচ্ছে। হাজার হাজার গাজাবাসীর মৃত্যুতে হামাসের উপর ক্ষোভ বাড়ছে সেখানকার জনতার। হামাস হারাচ্ছে জনসমর্থন।
গত কয়েকমাসে গাজাকে অবরুদ্ধ করে বেপরোয়াভাবে অভিযান চালায় ইজরায়েল। সম্প্রতি এক রিপোর্টে জানা যায়, গাজার ২০ লক্ষ বাসিন্দার মধ্যে বেশিরভাগই ভয়ংকর অপুষ্টির শিকার। ত্রাণ না পৌঁছলে মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেখানে ১৪ হাজার শিশুর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে। এর পরই গাজার ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেয় ইজরায়েল। যদিও উত্তর গাজায় ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়নি ইজরায়েলের তরফে। কারণ ওই অঞ্চলে গাজার বাসিন্দাদের উচ্ছেদের কাজ শুরু হয়েছে। ত্রাণ পাঠানোর অনুমতি মিললেও, অভিযান বন্ধ নেই। গত শুক্রবার ২৪ ঘণ্টায় সেখানে মৃত্যু হয় ৭৬ জনের। শনিবারও গাজায় ব্যাপক অভিযান চালিয়েছে ইজরায়েল। যার জেরে মৃত্যু হয় ৯ শিশু-সহ দুই চিকিৎসকের।