সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিরোধীদের নির্বাচন কমিশন ঘেরাও অভিযানকে কেন্দ্র করে সোমবার সকালে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় দিল্লির রাজপথ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জখম হন মহিলা সাংসদরা। তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ মহুয়া মৈত্র, মিতালি বাগ অসুস্থ হয়ে পড়েন। মহিলা সাংসদদের এই হেনস্তার প্রতিবাদে ফুঁসে উঠল তৃণমূল। ‘ফ্যাসিস্ট’ বিজেপিকে রুখতে একজোট হয়ে লড়াইয়ের ডাক দিল বাংলার শাসকদল।
India’s democracy is just not useless, not so long as the Opposition stands united to withstand fascist @BJP4India. However it’s undeniably on life assist.
Right this moment, ladies MPs had been dragged, manhandled, and assaulted. Smt. Mitali Bag needed to be hospitalised and is now present process remedy.
What… pic.twitter.com/okLEzALvlk
— All India Trinamool Congress (@AITCofficial) August 11, 2025
ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (SIR) নামে ‘ভোটচুরি’র প্রতিবাদে উত্তাল দিল্লি। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ সংসদ ভবন থেকে প্রতিবাদী পদযাত্রা শুরু করেন ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা। লক্ষ্য ছিল নির্বাচন কমিশনের অফিস ঘেরাও। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেতে পারে, তা অনুমান করে কমিশনের তরফে বিরোধী শিবিরকে চিঠি পাঠিয়ে জানানো হয়, এই ইস্যুতে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত কমিশন। তবে তার আগেই সংসদ ভবন থেকে বেরিয়ে পড়ে মিছিল। মিছিল কিছুটা দূর এগোতেই ব্যারিকেড দিয়ে মিছিল আটকায় পুলিশ। পালটা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন সাংসদরা। কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
পুলিশি বাধা পেয়ে রাস্তাতেই বসে পড়েন সাংসদরা। ছিলেন, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও। অন্যদিকে শাড়ি পরেই ব্যারিকেডের উপর চড়েন মহুয়া, সুস্মিতা-সহ তৃণমূলের সাংসদরা। ব্যারিকেড টপকাতে দেখা যায় সপা সাংসদ অখিলেশ যাদব, ভূপেন্দ্র যাদবদের। মিছিল থেকে স্লোগান ওঠে ‘গলি গলি মে শোর হ্যায়, নরেন্দ্র মোদি চোর হ্যায়’। এদিকে দিল্লি পুলিশের তরফে মিছিল আটকানোর আপ্রাণ চেষ্টা চলে। দুপক্ষের ধস্তাধস্তিতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মহুয়া মৈত্র, মিতালি বাগ। এ নিয়েই সোশাল মিডিয়ায় বিজেপিকে একহাত নিল তৃণমূল। দলের তরফে লেখা হয়েছে, “ভারতের গণতন্ত্র এখনও মরে যায়নি। ফ্যাসিস্ট বিজেপিকে রুখতে একজোট হয়ে লড়তে হবে।” পুলিশি হেনস্তায় অসুস্থ মিতালি বাগ হাসপাতালে ভর্তি। এক্স হ্যান্ডেলে সেই তথ্য প্রকাশ করে তৃণমূল প্রশ্ন তুলল, “কী অপরাধ ছিল? মানুষের ভোটাধিকারের বিরুদ্ধে বিজেপি-কমিশনের আঁতাতের প্রতিবাদের শাস্তি?” ঘাসফুল শিবিরের তরফে সাফ বার্তা দেওয়া হয়েছে যে, এভাবে তাঁদের কণ্ঠরোধ করা যাবে না।