সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পেশার স্বার্থেই পৃথিবী ছেড়ে মহাশূন্যে কয়েকটা দিন কাটাতে হবে। চিরাচরিত অভ্যাসগুলো ছেড়ে একেবারে অন্যভাবে অভ্যস্ত হতে হবে। কিন্তু তাই বলে কি রসনাতৃপ্তিতেও ভাটা পড়বে? তা মোটেই চান না নভোচররা। বিশেষত যাঁরা খাদ্যরসিক, তাঁদের কিন্তু মনখারাপ হওয়াই স্বাভাবিক। এবার অবশ্য মহাকাশযাত্রায় খাওয়াদাওয়ার একঘেঁয়েমি কাটতে চলেছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত রন্ধনশিল্পী সুরেশ পিল্লাইয়ের হাত ধরে নতুন মেনু পেতে চলেছে নভোচররা। শুভাংশু শুক্লাদের আসন্ন অভিযানেই মিলবে সেসব খাবার। অনুমোদন দিয়েছে নাসা।
সুনীতা উইলিয়ামস, বুচ উইলমোররা প্রায় ৮ মাস কাটিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে। সেসময় মূলত টিনবন্দি খাদ্য খেয়েছেন তাঁরা। মাঝেমধ্যে নিজেদের ফলানো টমেটো, লেটুস খেয়ে স্বাদ বদলাতে পেরেছেন। বিশেষ স্বাদু খাবার জোটেনি সেভাবে।

কিন্তু নাসার অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানে স্বাদেন্দ্রিয় মোটেই বঞ্চিত হবে না শুভাংশু শুক্লা-সহ চার মহাকাশচারীর। জানা যাচ্ছে, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে মহাকাশযাত্রার মেনুতে যোগ হচ্ছে তিন পদ – গ্রিলড চিকেন, চকোলেট পুডিং আর টমেটো স্যুপ। গবেষণা করে এসব খাবার তৈরি করেছেন সুরেশ পিল্লাই। তিনি একজন মাইক্রোবায়োলজিস্ট, বিশেষ গবেষণা খাদ্য পুষ্টিগুণের উপর। তাই সবদিক খতিয়ে দেখে সুরেশ আলাদা তিনটি পদ এনেছেন। যাতে স্বাদ এবং পুষ্টি সবই বজায় থাকবে।

শোনা যাচ্ছিল, শুভাংশু শুক্লা সপ্তাহ দুয়েকের মহাকাশযাত্রায় বাড়ির খাবার নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। বাড়িতে তৈরি মুগডালের হালুয়া, আমের চাটনি, নানা ধরনের রাইস খেতে পছন্দ করেন ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রুপ ক্যাপ্টেন তথা অ্যাক্সিয়ম-৪ অভিযানের পাইলট। তা কতটা সম্ভব, সেই প্রশ্ন ওঠে। তবে ভারতীয়-মার্কিন পুষ্টিবিদ সুরেশ পিল্লাইয়ে গবেষণার উপর ভরসা রেখেছে নাসা। দেখা যাচ্ছে, গ্রিলড চিকেন বা চকোলেট পুডিং মহাকাশযাত্রার জন্য উপযুক্ত খাবার। সেইসঙ্গে স্বাদুও। ফলে নাসার অনুমোদন সাপেক্ষে সেসব যুক্ত হল মহাকাশ সফরে। পরবর্তী সময়ে বেসরকারি উদ্যোগে সাধারণ মানুষ যখন মহাকাশ পর্যটনে যাবেন, তখন এসব খাবার উপযোগী হয়ে উঠবে। একইসঙ্গে মিলবে পুষ্টি ও স্বাদ।