হেমন্ত মৈথিল, মহাকুম্ভ নগর: জন সমাগমের নিরিখে বিশ্বের সমস্ত সমাবেশকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ভারতের মহাকুম্ভ। এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি মানুষ স্নান করেছে প্রয়াগরাজের ত্রিবেণী সঙ্গমে। এত মানুষের নিরাপত্তা এবং অন্যান্য ব্যবস্থাপনা সাফল্যের সঙ্গে করে ইতিমধ্যে ইতিহাস তৈরি করেছে যোগী আদিত্যনাথ সরকার। এই সাফল্যের অন্যতম কারণ ‘ডিজিটাল লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ট সেন্টার’ বা ডিজিটাল নিরুদ্দেশ কেন্দ্র। যেখানে সঙ্গীকে হারানোর বিষয়ে জানানোর পরে দ্রুত খোঁজ মিলছে। এই প্রথমবার নিখোঁজ পুণ্যার্থীদের খুঁজে দিত ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করা হল।
যোগী প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ২০ হাজার ১৪৪ জন পুণ্যার্থীকে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে বা খুঁজে দিয়েছে ডিজিটাল নিরুদ্দেশ কেন্দ্র। এর মধ্যে একটা বড় অং শ মহিলা পুণ্যার্থী। মহাকুম্ভে হারিয়ে যাওয়া পুণ্যার্থীদের খুঁজে দিতে বড় ভূমিকা নিচ্ছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ। ভারতের বিভিন্ন রাজ্য অধিবাসীরা তো বটেই, নেপাল থেকে এসে পরিবারের সদস্যদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন, এমন পুণ্যার্থীরাও ডিজিটাল নিরুদ্দেশ কেন্দ্রের সুফল পেয়েছেন।
মেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৌনী অমাবস্য়া দিনগুলিতে (২৮, ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি) ৮,৭২৫ জনকে, মকর সংক্রান্তির দিনগুলিতে (১৩, ১৪ ও ১৫ জানুয়ারি) ৫৯৮ জনকে এবং বসন্ত পঞ্চমীর শাহি স্নানে (২,৩ ও ৪ জানুয়ারি) ৮১৩ জনকে খুঁজে দিয়েছিল মহাকুম্ভের ডিজিটাল নিরুদ্দেশ কেন্দ্র। এছাড়াও অন্য দিনগুলিতে মেলার ভিড় হারিয়ে যাওয়া পুণ্যার্থীদেরও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে ‘ডিজিটাল লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ট সেন্টার’। সেই কাজ এখনও অব্য়াহত।