সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সত্যিই কি এই মহাবিশ্বে মানুষ একলা? নাকি ব্রহ্মাণ্ডের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে মানুষের দোসর? এর উত্তর আজও মেলেনি। কিন্তু খোঁজ চলছে নিরন্তর। এই অবস্থায় এবার অস্ট্রেলিয়ার জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন এক রহস্যময় মহাজাগতিক বস্তু। যেখান থেকে প্রতি ৪৪ মিনিটে রেডিও ও এক্স-রে সিগন্যাল এসে পৌঁছচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই সংকেত ঘিরে ঘনাচ্ছে রহস্য।
অস্ট্রেলিয়ান স্কোয়ার কিলোমিটার অ্যারে পাথফাইন্ডার ASKAP ও নাসার শক্তিশালী চন্দ্র এক্স-রে অবজার্ভেটরির সাহায্যে খোঁজ মিলেছে ASKAP J1832-0911-এর। দেখা যাচ্ছে, সংকেতগুলি মিনিট দুয়েক স্থায়ী হচ্ছে। এবং নির্দিষ্ট সময় অন্তর তা ফিরে আসছে। সবচেয়ে আশ্চর্যের কথা, কোনও চেনা নক্ষত্র বা মহাজাগতিক বস্তুর সঙ্গে যেন মিল নেই এই বস্তুটির। সাধারণ ভাবে কোনও নক্ষত্র থেকে সংকেত এলে তা স্থায়ী হয় মিলিসেকেন্ড বা বড়জোর এক সেকেন্ড। আবার প্রতি ৪৪ মিনিটের নিয়মিত ব্যবধানে তা ফিরে আসছে। এই প্যাটার্নের রহস্যে চোখ ধাঁধাচ্ছে বিজ্ঞানীদের। মনে করা হচ্ছে, এতদিনের চেনা কোনও মহাজাগতিক বস্তু নয় এটি। ফলতই তাঁরা উত্তেজিতও। তাই এর চরিত্রকে দ্রুত বুঝতে চাইছেন তাঁরা। দেখতে চাইছেন, এর পিছনে লুকিয়ে কোন রহস্য।
ভিনগ্রহে প্রাণ আছে কিনা, তা নিয়ে আগ্রহ আজকের নয়। সত্যজিতের শঙ্কু কাহিনি হোক কিংবা কোন আদ্যিকালে এইচজি ওয়েলসের উপন্যাস, বারবার অন্য গ্রহের প্রাণীদের প্রসঙ্গ উঠে এসেছে সাহিত্যে-সিনেমায়। কিন্তু আজ পর্যন্ত এব্যাপারে কোনও নিশ্চিত ধারণা করে ওঠা যায়নি। শেষ পর্যন্ত এই রেডিও সিগন্যালই কি হয়ে উঠতে পারে ভিনগ্রহীদের অস্তিত্বের সংবাদ? আপাতত সেদিকেই চোখ রয়েছে সারা বিশ্বের মহাকাশপ্রেমী মানুষদের।