সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ম্যাচটার ট্যাগলাইন ছিল, ভারত বনাম ভারত। কারণ টিম ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে নামা সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর কোচের নাম লালচাঁদ রাজপুত, যাঁর হাত ধরে ২০০৭ সালের টি-২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তাই মেন ইন ব্লুর বিরুদ্ধে রাজপুতের ছাত্ররা ভালো খেলতে মুখিয়ে ছিল। কিন্তু মাঠে নেমে অসহায় আত্মসমর্পণ করল আমিরশাহী। মাত্র ৫৭ রানে শেষ হয়ে গেল তাদের ইনিংস। এশিয়া কাপের প্রথম ম্যাচেই দাপট দেখালেন কুলদীপ যাদব।
এদিন টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করতে ভারতীয় বোলারদের মধ্যে যেন প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে যায়, কে ক’টা উইকেট নিতে পারেন। শেষ পর্যন্ত চার উইকেট তুলে নেন কুলদীপ, মাত্র ৭ রান দিয়ে। অন্যদিকে শিবম দুবে মাত্র ৪ রান দিয়ে তিন উইকেট তুলে নিয়েছেন। পাওয়ার প্লে শেষ হতেই এই দুই বোলারের সামনে গুঁড়িয়ে যায় আমিরশাহীর ব্যাটিং লাইন আপ। ১৩ ওভারেই যাবতীয় লড়াই শেষ আরব ব্রিগেডের।
যদিও ম্যাচের শুরুটা অন্যরকম হয়েছিল। প্রথম ৬ ওভারে ৪১ রান তুলে ফেলেন আমিরশাহীর ব্যাটাররা। প্রথম ওভারেই হার্দিক পাণ্ডিয়াকে দু’টি চার মারেন ওপেনার আলিশান সারাফু। পরে জশপ্রীত বুমরাহর বলেও তিনি বাউন্ডারি হাঁকান। তবে বুমরাহর বলেই আউট হয়ে যান সারাফু। তারপর ক্রিজে আসেন আমিরশাহী অধিনায়ক মহম্মদ ওয়াসিম। বুমরাহর এক ওভারে তিনটি চার মারেন তিনি। কিন্তু এই দু’জন ছাড়া আমিরশাহীর ব্যাটাররা কেউ টিকতে পারেননি ভারতীয় বোলারদের সামনে।
এই দুই ব্যাটার ছাড়া কেউই দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে হার্দিক ছাড়া প্রত্যেকেই উইকেট পেয়েছেন। একটি করে উইকেট পেয়েছেন বুমরাহ, অক্ষর প্যাটেল এবং বরুণ চক্রবর্তী। সবমিলিয়ে, এশিয়া কাপের শুরুতেই দাপুটে পারফরম্যান্স টিম ইন্ডিয়ার।