মায়ামি (ফ্লোরিডা): লালগ্রহে মানব বসতির স্বপ্ন দেখছে বিশ্ব। চলছে জোর প্রস্তুতি। কিন্তু প্রথম মানব মিশনে কাকে পাঠানো হবে? এই নিয়ে যখন তুমুল গবেষণা চলছে, তখন সামনে এল এক চাঞ্চল্যকর তথ্য! মহাকাশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, মঙ্গলগ্রহে প্রথম মানব মিশনে যদি পুরোটাই নারী নভশ্চরদের দল পাঠানো হয়, তবে সেটাই হবে সবচেয়ে কার্যকর! পুরুষরা কি তবে বসে বসে শুধু দূরবিন দিয়েই মঙ্গল দেখবেন?
ব্যাপারটা মজার হলেও এর পিছনে রয়েছে পোক্ত বিজ্ঞান। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, গড়ে নারী নভশ্চররা পুরুষদের তুলনায় ২৯ শতাংশ কম অক্সিজেন, ২৬ শতাংশ কম ক্যালোরি এবং ১৮ শতাংশ কম জল ব্যবহার করেন। কী ভাবছেন? এটা কী আর এমন বড় ব্যাপার? কয়েক বছরের দীর্ঘ মিশনে এই সামান্য পার্থক্যগুলিই বিশাল আকার ধারণ করে! এর মানে হল, মহাকাশযান উৎক্ষেপণের সময় ওজন কম হবে, মাঝপথে রসদের প্রয়োজন কম হবে এবং জীবনধারণের ব্যবস্থা (লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম) আরও অনেক বেশি কার্যকর হবে। পুরুষদের জন্য যা ‘অতিরিক্ত ওজন’, তাই মহিলাদের জন্য ‘মিতব্যয়িতা’!
স্বাভাবিকভাবেই নাসা এবং অন্যান্য মহাকাশ সংস্থা এই বিষয়টি নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। ব্যাপারটা কেবল নারী-পুরুষের সমতার জন্য নয়, বরং স্রেফ ‘দক্ষতার’ খাতিরেই নাকি নারীরা লালগ্রহের আদর্শ পথিকৃৎ হতে পারেন। হয়তো ভবিষ্যতের মঙ্গল মিশনে পুরুষ নভশ্চরদের পরিবর্তে আমরা দেখব শুধু নারীশক্তি! তখন পুরুষরা হয়তো পৃথিবীর মাটিতে বসে আক্ষেপ করবেন, ‘ইসসস, আমরা যদি একটু কম খেতাম!’ তবে সব মিলিয়ে, এই তথ্য নিশ্চিতভাবে মহাকাশ গবেষণায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এখন দেখার পালা, এই ‘মিতব্যয়ী’ নারীশক্তি কবে মঙ্গলে পা রাখে!
The publish মঙ্গলে নারীশক্তির জয়ের আশা appeared first on Uttarbanga Sambad.